পঞ্চগড়ে ঘটনার তিনদিন পর ধর্ষককে বেত্রাঘাত করে ছেড়ে দিয়েছে ইউপি সদস্য। এতে এলাকায় সকলের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ধর্ষনের অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউপি সদস্য রেজার নেতৃত্বে গত সোমবার সকালে কাজীপাড়া এলাকার জিতেন চকিদারের বাড়িতে বিচার বসে। বিচারে ইউপি সদস্য রেজার নির্দেশে ধর্ষককে বেত্রাঘাত করে বিষয়টি সমঝোতা করা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ধর্ষনের অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিচারের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কাজীপাড়া এলাকার মো: মামুন, তৌহিদুল ইসলাম ধর্ষনের অভিযোগে ইউপি সদস্য কতৃক বিচারের বিষয়টি স্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতেই তরিঘরি বিচার কার্যক্রম শেষ করেন ইউপি সদস্য রেজা। ধর্ষক রেজাউল পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায় মৃত. কায়মদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতা বিচারের জন্য আমার কাছে আসে। আমি এই বিচারে অপারগতা প্রকাশ করি। সোমবার সকালে জিতেন চকিদারের বাড়িতে বিচারের বিষয়ে আমি জানি না। জিতেন চকিদার বলেন, ২৯ তারিখ সোমবার সকালে আমার বাড়িতে বিচার অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মো: রেজার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কথা বলেননি তিনি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আক্কাছ আলী বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। ধর্ষন মামলার বিচার একজন ইউপি সদস্যের করার কথা নয়। শীঘ্রই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থাগ্রহন করা হবে।