হত ৩ দিন ধরে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ। আর এতে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ত্রাহি অবস্থা সর্বত্র। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে মানুষজন অস্থির হয়ে পড়ছেন। বোরো ধান কাটতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কৃষি শ্রমিক। রমজান মাসে এমন গরমে রোজাদাররাও চরম অস্বস্থিতে দিন পার করছেন।
গত ৩ দিন যাবত বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ ছাড়া গরমে বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অনেক স্থানে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বাড়ছে।
প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠা-নামা করায় এবং কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ ত্রিমুখী সংকটে হাঁসফাঁসে পড়েছে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (চাটমোহর) এর আওতাধীন চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, ইশ্বরদী (আংশিক) ও পাবনা সদরসহ (আংশিক) ৬টি উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় কয়েক দফা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
প্রচন্ড গরমের কারণে প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ¦র, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রকমের রোগবালাই। অনেকে বিরূপ আবহাওয়া সহ্য করতে না পেরে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। দুপুর হলেও এখন এ অঞ্চলের মানুষ একটু শীতল হাওয়ার জন্য ছটফট করছেন। অনেকেই রাস্তার পাশে বড় বড় গাছের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরকে শীতল করার চেষ্টা করছেন। তাপদাহের কারণে সাধারণ মানুষ অস্থির হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ছরছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী।