রমজান মাসের শুরুতেই সুজানগরের বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ফল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে কলা, বাঙ্গি, পেঁপে, আনারস ও লিচু।
ভুক্তভোগী ক্রেতারা জানায়, রমজান মাসে ফলের প্রচুর চাহিদা থাকে। তাছাড়া এ সময় ফলের দাম ও থাকে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সেকারণে অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় কাঁচা ও অপরিপক্ক ফল কেমিক্যাল দিয়ে পাকায়ে বিক্রি করে থাকে। বিশেষ করে যে সকল ফলের প্রতি রোজাদারদের চাহিদা বেশি সেই সকল অপরিপক্ক ফল কেমিক্যাল দিয়ে পাকায়ে হাট-বাজারে কাছপাকা বলে বিক্রি করা হয়। রমজানের প্রথমদিন থেকেই সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো কলা, বাঙ্গি, পেঁপে, আনারস ও লিচু। স্থানীয় ফল চাষিরা জানায়, ওই সকল ফল পাকতে এখনও ১৫/২০দিন সময় লাগবে। কিন্তু অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা রমজান উপলক্ষে ফল চাষিদের কাছ থেকে কাঁচ ও অপরিপক্ক ওই ফল কিনে কেমিক্যাল দিয়ে পাকায়ে হাট-বাজারে কাছপাকা বলে বিক্রি করছে। এসব কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ফল খেয়ে অনেকে পেটের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। ভুক্তভোগী ফল ক্রেতা শামসুর রহমান জানান, গত বুধবার পৌর বাজার থেকে একটি বাঙ্গি কিনেছিলাম। কিন্তু খেয়ে কোন স্বাদ পেলামনা। বরং ইফতারের সময় তা খেয়ে পেটের সমস্যা দেখা দিল। আমার ধারণা বাঙ্গিটি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওই সকল ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।