রাজশাহীর বাঘায় বন্দুকযুদ্ধে চোরাকারবারী জিয়ারুল ইসলাম কালু (৩৯) নিহত হয়েছে। এতে ৯ জন পুলিশ আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশী একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, ৫৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের আম বাগানে। নিহত জিয়ারুল ইসলাম কালু বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিকামড়া ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের আম বাগানে দুই গ্রুপের চোরাকারবারীর মধ্যে বন্ধুক যুদ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে চোরাকারবারী কালু নিহত হয়।
পুলিশ এগিয়ে আসলে পুলিশকে লক্ষ করে চোরাকারবারীরা আক্রমন করে। এতে ৯ জন পুলিশ আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। আহতরা হলেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সুমন দেব, সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম, জেলা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক খালিদুর রহমান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক উৎপল কুমার, বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী, এসআই ওসমান গনি, রেজাউল করীম, কনেন্সটেবল আরিফুর রহমান, মাহামুদুল হক। তাদেরর সকলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। আহতরা রাত সাড়ে ৩টা থেকে শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীণ ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমমেপ্লক্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আক্তারুজামান চোরাকারবারী কালু নিহত ও পুলিশ আহতের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়ারুল ইসলাম কালুকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জিয়ারুল ইসলাম কালুকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাঘা থানার এসআই আবদুল করিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত কালুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।