অপহরণের অভিযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। অপহরনকারীকে গ্রেফতার করেছে। তবে ছাত্রীর পিতার দাবী অপহরণ ও ছাত্রীর দাবী প্রেম! তাহলে প্রেম না অপহরণ ? এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী এবং অপহরনকারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই হাবিবুর রহমান।
ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে বুধবার বালিয়াকান্দি থানার মামলায় অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে (১৫) ধর্মতলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। স্কুলে যাতায়াতের পথে উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের নতুন ঘুরঘুরিয়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র নাথ অধিকারীর ছেলে রিংকু অধিকারী (২৫) প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বিয়ে করার জন্য জোড়পুর্বক অপহরণের জন্য সুযোগ খুজতে থাকে। গত ৬ মে রাত তার চাচাতো বোনের বিয়ে ছিল। বিবাহ চলাকালীন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকা রাস্তার উপর আসলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ওই ছাত্রী জানায়, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে সেচ্ছায় রিংকুর বাড়ীতে গিয়ে উঠি। আমার বাবা মিথ্যা বলছে। আমাকে কেউ জোড় করে অপহরণের কিছু নেই। আমি আগেও ২বার রিংকুর বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে উঠি। লোকজন ডেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের কথা বলে নিয়ে যায়।
রিংকুর বাবা জ্ঞানেন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, এর আগেও ওই মেয়ে ২বার আমার বাড়ীতে ওঠে। ওর অভিভাবকদের ডেকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। এবারও এসে উঠলে অপহরণ মামলা দায়ের করেছে।
বালিয়াকান্দি থানার এস,আই হাবিবুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে তার পিতা বাদী হয়ে বুধবার থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে বিকালেই অভিযান চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করাসহ অপহরনকারী রিংকু অধিকারী (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর জবানবন্ধি রেকর্ড ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী পাঠানো হয়েছে। অপহরনকারীকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে।