দেশের উত্তরাঞ্চলের শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা ও সাধারণ জনগণ রয়েছে গ্যাস বঞ্চিত। গ্যাসের দাবীতে তারা পুড়িয়েছে অনেক কাঠখড়। অবশেষে তাদের এ দাবী আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই উত্তরের ১১জেলায় ১৫০ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নীলফামারীসহ উত্তরের ১১ জেলায় গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে “বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন” নামে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। গত ৭ মে মঙ্গলবার প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোছাদ্দেক হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল নীলফামারী এসে এ প্রকল্পের সম্ভব্যতা যাচাই করে গেছেন। এটি বাস্তবায়ন করবে জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০কোটি ৬১ লাখ টাকা। বগুড়া, রংপুর ও নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের ১১ জেলায় গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সূত্র জানায়, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকেই সৈয়দপুর পর্যন্ত উচ্চ চাপ সম্বলিত পাইপ লাইন সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসাবে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে ওইসব জেলায় বিদ্যুৎ ও শিল্পায়নে ব্যাপক প্রসার ঘটবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩০৫.৩৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। গ্যাস পাইপ লাইনর নির্মাণে দু’টি নদী ক্রসিং নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও রংপুর, সৈয়দপুর ও বগুড়ায় প্রয়োজনীয় অফিস অবকাঠামো নির্মিত হবে। চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে এটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী মোছাদ্দেক হোসেন জানান, ওয়াপদা মোড়ের পাশে এক হেক্টর জমিতে অফিস অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর, পীরগঞ্জ, সৈয়দপুর, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এবং প্রস্তাবিত নীলফামারী অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাজারো ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত এসব অঞ্চলে শিল্পের প্রসার ঘটবে।