রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর রেজাউল হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে নিহতের বাবা-মা সংবাদ সম্মেলনের করে। সম্মেলনে বাবা-মা’র উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভগ্নিপতি শাহিনুর ইসলাম।এতে উল্লেখ করা হয়- উপজেলার চতরা ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আজিজার রহমানের পুত্র রেজাউল করিম (২৩) গত ২০১৭ ইং সালের ৫ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় চতরা হাটে বেড়াতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এরপর গত ২৫ এপ্রিল যাদবপুর গ্রামের তাদের বাড়ি থেকে কিছু দূরের ভুট্টা ক্ষেতে রেজাউলের অর্ধ গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরবর্তিতে নিহতের বড় ভাই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় সন্দেহভাজন আসামীদের পুলিশ গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে নিহত পরিবারের ওপর বিভিন্নমুখী ভয়ভীতি ও অত্যাচারে লিপ্ত হয়ে উঠে। এ বিষয়ে মামলার আই ও সহ থানা পুলিশে অবগত করা হলে পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করতে থাকে। ফলে নিরুপায় মামলার বাদি মামলাটি সুষ্ঠু নিরাপক্ষ তদন্তের জন্য আদালতের সরনাপন্ন হলে আদালত মামলাটি ডিবি পুলিশের হাতে ন্যস্ত করে। ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল নিহতের বড় ভাই মমিনুল ইসলামকে গোপনে তুলে নিয়ে গেলে পারিবারিক ভাবে ৯ দিন ওই বড় ভাইকে ডি.বি পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির করে মমিনুলকে না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। এরপর অমানুষিক নির্যাতনের পর গত ৯ মে বিজ্ঞ আদালতে মমিনুলকে হাজির করা হলে তার সদ্ধান মেলে। এদিকে ডি.বি পুলিশ এখানেই থেমে নেই।নতুন করে নিহতের ভাইসহ বৃদ্ধ বাবা-মাকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে পিতা আজিজার রহমান ও মাতা রাহেলা বেগম কান্না বিজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান আমাদের নিহত সন্তান রেজাউল হত্যার বিচার পাবো কি না জানি না। ডিবি পুলিশ বর্তমানে উল্টো নিহতের ভাই ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমরা সন্তান হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। সম্মেলনে চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন, ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ গোল্লাসহ পরিবারের সকল সদস্য ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।