পটুয়াখালীর বাউফল কেশাবপুর ইউপি সদস্য মোসা: লিপি বেগম ও তার স্বামী মো: কবির হোসেনের নামে একই এলাকার অনীমা রাণী নামের এক হিন্দু মহিলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানিমুলক অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনীমা রাণী ও তার স্বামী সুবাল ওরফে সুভাস চন্দ্র শীল (২০০১-২০০৫) সালে স্থানীয় আ.লীগ নেত্রী লিপি বেগম ও মালায়শিয়া প্রবাসী (৯৬-১০) স্বামীর কাছে ৫১৭২/০১ দলিলে ৫০ শতাংশ, ৪১৯৪/০৪ নং দলিলে ১৭ শতাংশ, ৭৮৭০/০৪ দলিলে ২০শতাংশ এবং ৪১৬৯/০৫ দলিলে ১৪ শতাংশ জমি বিক্রি করে সুবাল।
এছাড়াও স্থানীয় নজু খাঁ, আবু সালেহ, মনির ভূইয়া, মানিক খাঁ, শওকত হোসেন রজ্জব ভ’ইয়া হালিম সিকদার ও মুকন্দশীলসহ বিভিন্ন জনের কাছে জমি বিক্রি করেন সুবল। জানা যায় সুবল তার ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের নাম অপর দিকে পরিচয় পত্রের নাম সুভাস।
অনীমা রাণী তার অভিযোগে বলেন সুদের টাকার জন্য লিপির স্বামী তাদের জমি ভয়ভীতি দেখিয়ে দলিল করে নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে লিপি বলেন, আমি এবং আমার পরিবার জন্মগত আ.লীগ হওয়ায় বিএনপি জামাতের আমলে আমাদের উপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। সে সময় টাকার অভাবে অনীমা ও তার স্বামী আমাদের কাছে জমি বিক্রি করে। আমরা টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করি।
সাব- রেজি: অফিসে গিয়ে আমাদের জমির দলিল দেয়। আর তখন আমার দল ক্ষমতায় ছিলো না, আমি মেম্বারও ছিলাম না। সুতরং প্রভাব বিস্তারের কোন প্রশ্নই আসে না।
কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘সুুবাল আর সুভাস একই ব্যক্তি। অনীমা রাণীর স¦ামী লিপি ও তার স্বামীর কাছে জমি বিক্রি করছেন তাও সত্য। আমরা স্থানীয়ভাবে আপস মিমাংসার চেষ্টা করেছি অনীমা তা মানেনি। সংখ্যালঘুকে ব্যবহার করে অতিরিক্ত বাড়া-বাড়ি করতেছে।
এব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র বলেন, স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।