কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। আসামীদের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ এসব তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপ্এিম (বার)। নিহত তানিয়ার পরিবারের দাবি, কোনো মহলের চাপে যেন বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়া না হয়। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্বজনেরা।
গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গ্রামে ফিরছিলেন শাহিনুর আক্তার তানিয়া। পথে বাজিতপুরের গজারিয়ায় ধর্ষণের পর ফেলে দেয়া হয় তাকে। কটিয়াদী স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলেও যায়নি বাঁচানো।
মামলার আসামি বাসচালক নুরুজ্জামান, সহকারী লালন মিয়া, বকুল, খোকন ও রফিক বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানিয়েছেন রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। আসামীদের থেকে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন করে মিডিয়ার মাধ্যমে জানাবেন বিস্তারিত। এছাড়াও তানিয়াকে নিয়ে আসা বাসটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। বাসেও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যাবিষ্টি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ রমজান মাহমুদ জানিয়েছেন. তিন সদস্যর একটি টিম তানিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তাঁর ঘায়ে আঘাতের চিহ্নসহ মিলেছে ধর্ষণের আলামত।
তানিয়ার পরিবার জানিয়েছে ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের মৃত্যু হয়েছে মাত্র তিন মাস আগে। চিকিৎসার জন্য ঋণ হয়েছে অনেক টাকা। এ অবস্থায় উপার্জনক্ষম তানিয়াকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা। ফেনীর নুসরাতের মতো কিশোরগঞ্জের তানিয়া হত্যার তদন্তেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসনের সঠিক তৎপরতা চায় তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
তানিয়া হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রতিদিনই মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।
শনিবার সকালে জেলা শহরের কালিবাড়িস্ত পরম চত্বরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, মানবাধিকার নাট্য পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠনের ব্যনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।