সব ধান ক্ষেতে ধান গাছের রং হয় সবুজ। কিন্তু একটি ধান ক্ষেতের রং যখন বেগুনি তখন সবুজের মাঝে বেগুনি ধান গাছ। ফলনেও বোধ হয় ধান বেগুনিই হবে কিন্তু না। ধান গাছের রং বেগুনি কিন্তু ফলনে ধানের রং দেশী সব ধানের মতই। বিষয়টি আর্চায্যজনক মনে হয়েছে এবং কৃষকের মাঝে বেশ আগ্রহ ও কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। এই ধান দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে কৃষক শাহিনুর আলম (৩৫) বাড়ীতে। কৃষকের বাড়ী শেরপুরের নালিাতাবীড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের ভেদীকুড়া গ্রামে।
কৃষক ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৪০ দিন পূর্বে কৃষক শাহিনুর আলম কে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস হতে ৫ কাঠা জমির জন্য ৩ কেজি বেগুনি ধান বীজ দেওয়া হয়। এটিকে উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি অফিস কৃষক শাহিনুর আলমের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করেছে। গত ৬এপ্রিল ধান কেটে ধান ,শুকিয়ে এটিকে বীজ আকারে রাখার জন্য প্রস্ততু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষক শাহিনুর আলম।
কৃষক শাহিনুর আলম বলেন, আমি এটি পরিক্ষা মুলকভাবে প্রথমে আবাদ করে দেখলাম কেমন হয়। তবে ৫কাঠা জমিতে শুকিয়ে ধান হয়েছে ১২ মন। এটিকে আমি বীজ আকারে রেখে দেওয়ার চিন্তা করছি। কোন কৃষক আবাদ করতে চাইলে তারা আমার কাছে এই বীজ ধান নিয়ে আবাদ করতে পারবে। তবে এই ধানে সার ও কীট নাশক খুবই কম লাগে। রোগ বালাইও কম হয়েছে। উৎপাদনে ধান একটু লম্বা হয়েছে এবং ওজনও ভাল। যদি কোন ব্যাক্তি এই ধান আমার কাছ থেকে ক্রয় করতে চান তাহলে এই নাম্বারে-০১৭২৫৫১৬৬৭৫ কল করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফ ইকবাল বলেন, সবুজের মাঝে বেগুনি এই ধান গাছ কৃষকের মাঝে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এটি ফলনে ভাল। সার-বিষ, তুলনামূলক ভাবে অনেক কম লাগে। ধান গাছে রোগ বালাই কম হয়। এই ধান নিয়ে আরো গবেষনা করা হবে। এই ধানটি কুমিল্লা জেলার মনাগ্রাম হতে মনজুর হোসেন নামের এক কৃষকের কাছ থেকে এই বীজ ধান সংগ্রহ করা হয়। এই ধানের নামকরন এখনও করা হয়নি। গবেষনার পর এটির নামকরন করা হবে।