রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৫ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল রেস্তোরাগুলোতে কোন রাখঢাক নেই। নামমাত্র একখানা পর্দা টানিয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে খাবার বিক্রি হচ্ছে। পানাহারও চলছে প্রকাশ্যেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান,এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় মিলে ৫ শতাধিক হোটেল রেস্তোরা রয়েছে। রমজানের শুরুতেই সবগুলো হোটেল রেস্তোরা সামান্য সময় বন্ধ রাখার পর বিকেলেই খুলে বসেছেন মালিকরা। এখন আর কোন রাখঢাক নেই। নামমাত্র একটি পর্দা টেনে দিয়েই খাবার দাবার বিক্রি করছেন। পানহারও চলছে প্রকাশ্যেই। এগুলোর মধ্যে যারা বেকারীর মালামাল বিক্রি করেন তাদের রেষ্টুরেন্টগুলো কিছুটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও যে সব হোটেল রেস্তোরায় খাবার সামগ্রী তৈরী সেগুলোতে সারা বছর নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। খাবারের উপর মাছি ভনভন করছে। বেশীরভাগ সময়ই বিক্রি করা হচ্ছে পচা বাসী খাবার। প্রতি বছর রমজান মাসে উপজেলা সদরের আশপাশ এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল রেস্তোরায় মোবাইল কোট দিয়ে বিশ বা ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সারেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে হোটেল রেস্তোরাগুলোতে প্রকাশ্যে খাবার বিক্রি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও এই উপজেলায় তা কার্যকর নয়। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন বলেন-মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে,চলবে।