রংপুরে যাত্রীবেশে চালককে অজ্ঞান করে অটোছিনতাইকারী চক্রের মহিলা রুমি বেগমকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রংপুর থেকে অটো ছিনতাই করে পালানোর সময় কাউনিয়া থেকে তাকে আটক করে তাজহাট থানা পুলিশ। আটককৃত রুমি বেগম মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ মন্ডলপাড়া এলাকার কাবেজ আলীর মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রোকোনুজ্জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১১ মে) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বীজ গবেষণা কেন্দ্রের রাস্তার পার্শ্বে অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুক্তাকী ইবনু মিনান এর নির্দেশে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওসার (বিপিএম) এর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ (মাহিগঞ্জ জোন), সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (পরশুরাম জোন) জিন্নাহ আল মামুন, তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকোনুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাজমিলুর রহমান এবং এসআই শিমুরুল হাসান তাৎক্ষণিক ভাবে অচেতন চালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি করান। পরে চালক মাইদুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে তার ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের নম্বর প্রযুক্তির সাহায্যে ট্রাক করা হয়। এতে ছিনতাই করে চক্রটি অটো নিয়ে রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিল এমন তথ্য পেয়ে তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকোনুজ্জামান ধাওয়া করে কাউনিয়া পুলিশের সহায়তায় কাউনিয়া মহাসড়কের রেলগেট এলাকা থেকে রুমি বেগমকে আটক করে ছিনতাই হওয়া অটো উদ্ধার করে। এ সময় ছিনতাইকারী চক্রের বাকী সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে চালক মাইদুল ইসলামের ভাই তাজহাট থানায় মামলা দায়ের (মামলা নং-৮,১১/৫/১৯) করেন।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রোকোনুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দীর্ঘদিন হতে কৌশলে অটোরিকশা ছিনতাই করছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধারা ৩২৮/৩৭৯/৩০৭/৪১১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।