কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার জামতলি গজারিয়া নামক স্থানে স্বর্ণলতা পরিবহনে ইবনেসিনা কর্মরত স্টাপ নার্স শাহিনা আক্তার উরফে তানিয়া (২৭)কে ধর্ষনের পর হত্যা করেছে বাসের চালক নুরুজ্জামান, সহকারী হেলপার লালন মিয়া ও অপর হেলপার আল-আমিন। গতকাল রবিবার দুপুরে গজারিয়া জামতলিতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আল-মামুন, কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান ঘটনা স্থল পরিধদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আল-মামুন, কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের নিয়ে এ হত্যা কান্ডনিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংএ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ইবনেসিনা কর্মরত স্টাপ নার্স শাহিনা আক্তার উরফে তানিয়া (২৭)কে বাসের চালক নুরুজ্জামান উরুফে নুরুকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সে সহ অপর হেলপার লালন মিয়া ও আল-আমিনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ তিন জন আসামির মধ্যে অন্য দুই জন আসামি ঘটনার সাথে যদি জড়িত না থাকে তাহলে তাদের আইনে আওতায় নেওয়া হবে না। গতকাল রবিবার মামলার বাদি নিহত শাহিনা আক্তার উরফে তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার মেয়েকে যারা ধর্ষন করে হত্যা করেছে তিনি তাদের ফাঁসির দাবি করেন। তিনি বলেন, পিরিজপুর বাজারের জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে আব্দুলাহ আল-মামুনকে এলাকার কিছু লোক মামলায় আসামি করেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। গতকাল রবিবার সরেজমিন গেলে পিরিজপুর বাজারের ব্যবসায়ীর হিরু মিয়া জানান, যেদিন রাতে শাহিনা আক্তার উরুফে তানিয়াকে বাসের তিন জন স্টাফ ধর্ষন করে হত্যা করেছে, তখন আব্দুলাহ আল-মামুন তখন পিরিজপুর বাজার মসজিদে তারাবির নামাজে ছিলেন। ঐদিন ভোর ৫ টায় দিকে লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের তানিয়ার আতœীয় স্বজন আসিলে তখন মামুন বিষয়টি অবগত হয়। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার সকালে বাজিতপুর থানার ইনর্চাজ মোঃ খলিলুর রহমান পাটোয়ারী ও কটিয়াদী থানা ইনর্চাজ আবু শামা মোঃ ইকবাল হায়াত জানান, অচিরেই ঘটনার সাথে জড়িত বাসের ড্রাইবভার নুরুজ্জামান হেলপার লালন মিয়াকে জিজ্ঞাসা পর মূল ঘটনা বেড়িয়ে এসেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেন।