পানি এবং বিদ্যুত ছাড়া চরম ভোগান্তির মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫নং ওয়ার্ডের ৭নং সড়কের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমস্যা সম্পর্কে অবগত থাকলেও কার্যকরি কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় চরম হতাশ হয়ে পরেছেন ছাত্র ও শিক্ষকরা। অনিতিবিলম্বে সমস্যা সমাধানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিদ্যুত বিভাগ ও সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফিরোজী।
সূত্রমতে, গত ছয় মাস আগেও একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলো এই এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নজরে পরে। তিনিসহ সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা স্ব-শরীরে ওই মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। ওইসময় মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শতাধিক এতিম ছাত্রের বাস্তব অবস্থা অবলোকন করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। সেই অনুদানের টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, চারতলা ভিত্তির ওপর একতলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে অনুদানকৃত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চরম অর্থ সংকটে পরেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার উপর মরার ওপর খরার ঘাঁয়ের মতো রয়েছে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা। প্রচন্ড তাপদাহ ও চলমান রমজানের মধ্যে মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ছাত্র-শিক্ষকদের চরম ভোগান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।