সন্ত্রাসী হামলায় আহত হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের উপর হামলা মামলার অন্যতম আসামি মিহির রায় ও রানা রায়কে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে শাল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসর্ম্পন করে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক শুভদ্বীপ পাল তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে জয়ন্ত সেনের উপর হামলায় জড়িত গোপাল রায়কে গ্রেফতার করে শাল্লা থানা পুলিশ। গোপাল রায় জয়ন্ত সেনের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামি বর্তমানে সে জেল হাজতে আছে। অপর আসামি রিংকু রায় এখনো পলাতক আছে।
উল্লেখ্য গত ৭ মে সাংবাদিক ও হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের শাল্লা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেন সুনামগঞ্জে ফেরার পথে আনন্দপুর গ্রামের গোপাল রায় ও রিংকু রায়ের নেতৃত্বে দষ্কৃতিকারীরা সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি মারাত্মক আহমত হয়। আহমত অভস্থায় বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার সাংবাদিক জয়ন্ত সেন একই গ্রামের গোপাল রায়, রিংকু রায়, ইন্দ্রজিৎ রায়, মিহির রায়, রানা রায় এবং বাবলু রায়সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু। তাকে সহযোগিতা করেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন উপদেষ্টা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট চান মিয়া, অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সরকার, অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, অ্যাডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট নাসিরুল হক আফিন্দি, অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ, অ্যাডভোকেট আতিক, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান স্বপন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংবাদিক শামস শামীম, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (দিরাই-শাল্লা) একে কুদরত পাশা।