সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের মাল মসলা দিয়ে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর প্রতিযোগতা চলছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে মানব স্বাস্থ্যের জন্য এসব ক্ষতিকর লাচ্ছা সেমাইয়ে বাজার ভরে গেছে। একপ্রকার অসাধু ব্যবসায়ী বেশী মুনাফা লুটের আশায় পবিত্র মাহে রমজান মাসেও মানুষের খাবার দ্রব্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোন সেমাই কারখানায় চালানো হয়নি অভিযান। অভিযোগে জানা যায়, রমজান মাসে সবচেয়ে বেশী চাহিদা সেমাইয়ের। আর এ মাসকে পূঁজি করে শহরের ভেতরে এবং শহরের বাইরে অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে গোপনে গোপনে দিনে এবং রাতে এ সকল ভেজাল সেমাই তৈরীর কাজ করা হচ্ছে। কেউ কেউ রমজান মাস আসার পূর্ব থেকেই নিম্নমানের সেমাই তৈরী করে তা গোডাউনজাত করেছে। আবার কেউ কেউ এ পর্যন্ত সেমাই তৈরী করে চলছে। এগুলো তৈরীর সময় নিজের চোখে দেখলে সেমাই খেতে ইচ্ছে করবে না কারো। এগুলো তৈরী করা হচ্ছে নিম্নমানের তেল, ময়দা, ডালডা, চর্বি এবং পা দিয়ে খচে খচে। তৈরীর পর এগুলো কি চমৎকার প্যাকেটে ভরা হচ্ছে। আর প্যাকেটের গায়ে লেখা হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানীর নাম ঠিকানা। এগুলো খাবার উপযোগী না হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে। আর এ ভেজাল সেমাই ক্রয়ে হুমরি খেয়ে পড়ছে সহজ-সরল ক্রেতা সাধারণ। তারা জানেন না এ সেমাই গুলো কোথাকার এবং কিভাবে তৈরী হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে এগুলো দেখার কঠোর বিধান থাকলেও এ পর্যন্ত কোন কোম্পানীতে অভিযান চালানো হয়নি। অভিযান চালানো হচ্ছে হোটেল ও ফলমূলের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে এ সময়ে সেমাই কারখানাগুলোসহ শহরের সেমাই দোকান ও কনফেকশনারী গুলোতে অভিযান প্রয়োজন। অভিযান না চলায় অসৎ এসকল ব্যবসায়ী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর তাদের পকেট টাকায় ভরপুর হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্বাস্থ্য ও অর্থের দিক দিয়ে ক্রেতারা। বর্তমানে শহর ও শহরের আশপাশের বাজারগুলোতে সেমাই ও কনফেকশনারী দোকান গুলোতে অভিযান চালানোর দাবী তুলেছে সচেতন মানুষ। তারা বলছে প্রশাসন এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে অভিযানের ব্যবস্থা নিবেন। উল্লেখ্য সেমাইয়ের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। সেমাই তৈরীকালে শ্রমিকের গা চুয়ে চুয়ে পড়ছে ঘাম। এগুলো প্রকাশ্য করা হলেও স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর উদাসিন।