ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল প্রসাধনী সামগ্রী মজুদ করছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। বেশি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দোকানীরা তা সুন্দরভাবে থাকে থাকে সাজিয়ে রাখছেন। ফলে সৈয়দপুরের প্রসাধনীর দোকান গুলোতে চাকচিক্যভাবে শোভা পাচ্ছে এসব পণ্য। এগুলো ব্যবহার করে মানুষ চর্ম রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। প্রতিনিয়ত সাবান, লিপিস্টিক, নেইল পলিশ, বডি স্প্রে, সুগন্ধি, লোশন, নারিকেল তেল, আফটার সেভ লোশন, সেভিং ক্রীমসহ বিভিন্ন ধরনের রূপ ও ত্বক চর্চার প্রসাধনী পণ্য নকল ও ভেজাল হচ্ছে। বিশেষ রুপ চর্চায় মনোযোগী নারীরা প্রতারণায় পড়বে অহরহ। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর ঈদের আগে দোকানীরা সৈয়দপুরে নকল, ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ক্ষতিকারক প্রসাধনী সামগ্রী প্রকাশ্যে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মজুত করে রাখা হয়। এবারও তারা রমজানের আগে থেকে মজুদ করে রেখেছেন। চাকচিক্য মোড়ক সমৃদ্ধ ও এসব পণ্য কিনে প্রতারিত হবেন মানুষ। ঈদে ঘিরে ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বেনামী কোম্পানির পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। নামি দামি কোম্পানির ফেলে দেয়া মোড়ক ও জার, তেল, বোতল, টিউব সংগ্রহ করে এক শ্রেনির অসাধু ব্যক্তি সেগুলোতে নি¤œমানের পণ্য ঢুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদের স্থানে সুকৌশলে নতুন মেয়াদ লিখে দেয়া হয়। অবশ্য কোন কোন দোকানী স্বেচ্ছায় ক্রেতা যদি কখনো অভিযোগ করে তা তাকে বলা হয় কোম্পানি যা দিয়েছে তাই বিক্রি করা হয়। ফলে ক্রেতা আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না। কিন্তু কিছু ব্যক্তি নি¤œমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদেশি পণ্য এনে নতুন মেয়াদে বাজারে ছাড়ছে। ক্রেতারা বিদেশি প্রসাধনী ভেবে তা নিয়ে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ হতে পারে। সৈয়দপুর শহরের বিভিন্নজন জানান, পাড়া মহল্লায় ফেরিওয়ালা বাড়ি বাড়ি ঘুরে যেসব প্রসাধনী পণ্য বিক্রি করছেন সেসব নকল কিনা তাও দেখা দরকার প্রশাসনের। চিকিৎসকদের মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।