কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ সড়কে গতকাল সকাল ১১ টা হতে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত শাহীনুর আক্তার উরফে তানিয়া গণধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবীতে বাজিতপুর পল্লী সমাজের বিশাল র্যালীর নেতৃত্ব দেন পল্লী সমাজের নেত্রী পারভিন আক্তার সহ শত শত নারী ও পুরুষ। এ সময় মানব বন্ধন শেষে পল্লী সমাজের নারীরা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, গত সোমবার ঢাকায় ইবনেসিনায় কর্মরত স্টাফ নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়া স্বর্ণলতা পরিবহনে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে, পিরিজপুরের জামতলি গজারিয়ার মাঝামাঝি স্থানে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাসের ড্রাইভার নুরুজ্জামান নুরু, সহকারী হেল্পার আল-আমিন ও লালন মিয়া তিন জনে মিলে তাকে গণধর্ষন করে ও পরে তানিয়াকে উড়না পেচিয়ে হত্যা করে বাসের জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় বাজিতপুর সহ সারা দেশে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, মহিলা সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নার্সেস ইন্সটিটিউট প্রতিবাদের ঝড় উঠে। উল্লেখ্য, বাসের ড্রাইভার নুরুজ্জামান নুরু গত রবিবার কিশোরগঞ্জ বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। গত সোমবার বিকেলে এই নিয়ে আইন সৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন, ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। গতকাল পল্লী সমাজের উদ্দ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা আক্তার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা বাবুল মিয়া, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একে এম আবদুল কাদির ভূইয়া, ব্রাক মানবাধিকার কর্মসূচির নূরে আলম সিদ্দিকী ও পল্লী সমাজের সহ প্রধান পারভীন আক্তার। সহযোগীতায় ব্রাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি সাবিনা ইয়াসমিন।