জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর হাট ও বাজারে টোল আদায় নিয়ে দু’পক্ষের সংর্ঘষে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় শিবপুর চার মাথা বাজারে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন শিবপুর গ্রামের জালাল উদ্দীন ছেলে পাইলট (৪৫),একয় গ্রামের জাহিদুলের ছেলে রুহেল (৩০),আলমঙ্গীর হোসেন এর ছেলে বাছেদ (২৮) ও শহিদুল আলমএর ছেলে হাছান আলী (২৮)।
প্রতক্ষর্দশী ও এলাকাবাসী জানান, ১৯৯৭ সালে স্থানীয় উদ্যোগে শিবপুর চার মাথায় হাট ও বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। সেই থেকে সরকারী ইজারা ছাড়াই প্রতি সোমবার সেখানে হাট বসে। দিনদিন হাট ও বাজারের ব্যবসা বানিজ্য প্রসার হওয়ায় গত দুই বছর যাবৎ স্থানীয় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজস্ব আয়ে জন্য অবৈধভাবে হাট ও বাজারটি স্থানীয়দের নিকট ইজারা দিয়ে আসছে। কয়েক মাস আগে স্থানীয় প্রভাব শালীর কয়েকজন ব্যক্তি হাট ও বাজারের নির্ধারীত জায়গাটি দখল করে। সেই থেকে এখন হাটও বাজারটি রাস্তার উপর বসে। এবার চলতি বাংলা সনে হাট ও বাজারটি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি শিবপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন আমবাবু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে গত সোমবার টোল আদায় করে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হাটুরীরা রাস্তার উপরে সবা হাটের টোল আদায়ে বাধাঁ দিলে ইজারাদারের পক্ষের লোক জনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধলে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়। আহতরা জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবপুর হাটের বর্তমান ইজারাদার আনোয়ার হোসেন আমবাবু বলেন, আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমি হাটটি এক বছর মেয়াদে ইজারা নিয়েছি। গতকাল বাজারে টোল আদায় করতে গেলে তারা আমার লোকজনদের বাঁধা প্রদান করে এবং তাদের কে মেরে আহত করে।
এ বিষয়ে আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিমের সং্েগ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার্স ইনচার্জ শাহরিয়ার খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,গতকাল শিবপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়ে দু’তিনজন আহত হয়ে হাসপাতারে ভর্তি রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।