অবশেষ সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে আগামি ১৮ জুন রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার অজুহাতে উচ্চ আদালতে রিট করার প্রেক্ষিতে বিচারকের নির্দেশ মোতাবেক ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে এ উপজেলার উপ-নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে ভোটগ্রহণের জন্য বারবার নির্বাচন কমিশন কতৃক তপসিল ঘোষণা করলেও শেষ পযর্ন্ত নানা অজুহাত দেখিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হতো। তবে এবার ভোটগ্রহণ সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। ফলে আগামি ১৮ জুন নির্বাচন করতে আর কোন বাঁধা রইলনা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সোমবার (১৩ মে) পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিরদাহ মোসাম্মদ শাহনাজ বেগম বলেন, পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২১ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে। ভোটগ্রহণ ১৮ জুন।
এর আগে এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যাপক মো. মকবুল হোসেন ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করলে পদটি শূন্য হয়। এরপর ওই বছরেরই ৮ ডিসেম্বর উপনির্বাচন গ্রহণের জন্য তপসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তপসিল ঘোষনার পর সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা ইস্যু নিয়ে পবা উপজেলার পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু সে সময় উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। যার প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে উচ্চ আদালত সেই উপ-নির্বাচন স্থগিত করে দেন। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়েই চলছে পবা উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম। পরে গত ১০ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষনা করলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনসুর রহমান রিটের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে রিট করে নির্বাচনে বিলম্ব করায় ফজলুল বারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। আর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কোনো আইনগত বাধা নেই বলেও জানানো হয়।