ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপুর্ন কোলাবাজার সড়কের কালভার্টের অর্ধেকটা জুড়ে ভেঙে পড়ায় পথচারী সহ যানচলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা স্থানে পড়ে পথচারী মানুষসহ গরু- মহিষ আহতের ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বর জানার পরেও গত দু-মাসেও ভাঙা কালভার্ট মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ=কোলাবাজার জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কের ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ির সন্নিকটে কালভার্টের অর্ধেকটা জুড়ে ভেঙ্গে পড়াছে। নিরাপত্তার জন্য গত দু’মাস ধরে এ স্থানে একটি লাল পতাকা ও কিছু ডাল-পালা ছাড়া আর কিছুই জুটেনি। কোলা ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত এ ঘটনা জানার পরেও তাঁরা এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এমনকি স্বয়ং আয়ুব হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়ি পাশে এমন কালভাট ভেঙ্গে রয়েছে, যা প্রতিদিন চেয়ারম্যানের চোখের সামনে পড়ছে। কিন্তু এটি মেরামতের কোন নেকনজর নেই। স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫ জন পথচারী নারী-পুরুষ ভাঙ্গা স্থানে পড়ে আহত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটছে কিন্তু বিষয়টি চেয়ারম্যানের নজরে ও আমলে আসছে না রহস্য জনক কারনে। সামনে কয়েকদিন পর আসছে মুসলমান ধর্মের বড় উৎসব ঈদুল ফেতর, এলাকাবাসী কোলাবাজার ও কালীগঞ্জ শহরে কেনাকাটার জন্য আসা-যাওয়া করবে ব্যাস্ততম ভাবে। দুরদুরান্তের মানুষের চলাচলের ব্যস্ততা ও বৃদ্ধি পাবে নারি পুরুষদের। আবার কোলাবাজার একটি বড় বাজার এখানে রয়েছে বিশাল ধানের হাট, এ ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে।
এলাকাবাসি বলছে, প্রায় ২ বছর হল কালভাটটি রাস্তা পাকা করনের সময় করা হয়েছিল। কিন্তু অতি নি¤œমানের রড,ইট, সিমেন্ট দিয়ে মোরামত করার কারণে সামান্য দু,বছরের মাথায় ভেংগে পড়ে সড়ক দিয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পেড়েছে। এ সড়ক দিয়ে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে প্রতিনিয়ত।গ্রামগুলিহলকোলা,রামচন্দ্রপুর,নাটোপাড়া,পারিয়াট,চুকাইতলা,কামালহাট,ডাউটি,বলরামপুরসহ ২০ গ্রামের জনসাধারন ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল স্বয়ং ঐ ইউনিয়নের যিনি চেয়ারম্যান তার বাড়ির ৪,শ গজ দুরে কালভাটটি ভেংগে পড়ে রয়েছে প্রায় ২ মাস। কিন্তু চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে হলে ও রহস্য জনক কারণে মেরামত করছে না। এ সড়ক টি প্রায় ১০ ফুট চওড়া রয়েছে কিন্তু রাস্তার ৫ ফুট জুড়ে কালভার্ট ভেংগে পড়ে রয়েছে। দিনরাত সর্ব সময় কোলা সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করে থাকে, সড়কটি অত্যান্ত ব্যাস্ততম সড়ক। কিন্তু এভাবে কালভাটটি ভেংগে পড়ে থাকলে ও জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি আমলে গ্রহন করছে না। চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে হলেও তিনি সর্ব সময় দেখে থাকলে ও মনে হয় তিনি না দেখার ভ্যান করে থাকেন। দ্রুত কালভার্টটি মেরামত না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ও রাস্তা দিয়ে সব কিছু চলাচল বন্ধ হয়ে জেতে পাতে। এমনিতেই রাস্তাটি চওড়া ১০ ফুট হলে ও কালভার্টটি প্রায় ৭ ফুট ভেংগে গেছে। কোন রকম মটর সাইকেল,বাইসাইকেল বা জনসাধারন চলাচল করে, কিন্তু বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কালীগঞ্জ কোলাবাজার সড়কটি অতিব্যাস্ততম, এ বাজারে রয়েছে বড় ধরনের ধানের হাট, কাঁচা মালের হাট, কলেজ, হাইস্কুল,ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সড়ক টি অতি ব্যা¯ততম হলে ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি তেমন কিছু মনে করছে না। এটি যে ভাবে ভেংগে রয়েছে তাতে করে ভাংগার মধ্যে বড় ডাল পুতে রাখা হয়েছে, দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য। কিন্তু এ সড়ক দিয়ে যারা অপিরিচিত ব্যাক্তিরা মটর সাইকেল,বাইসাইকেল,ইঞ্জিন চালিত গাড়ি গুলোতে ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, জনসাধারনের চলাচলের স্বার্থে দ্রুত কালভার্টটি মেরামত করা দরকার।