কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে ঝিনাইদহ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্কুলের ভুয়া প্রশংসা পত্র ও জন্ম নিবন্ধন পত্র দিয়ে বয়স জালিয়াতি করার অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম এ জরিমানা আদায় করেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে এই জরিমানা করা হয়।
অভিযোগ ছিল, গত ২৭ এপ্রিল শহরের কাঞ্চননগর স্কুলে পড়ুয়া পবহাটী গ্রামের এক ছাত্রীর শৈলকুপার উমেদপুর হাই স্কুলের ভুয়া প্রশংসা পত্র দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ নেয়। এই নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করেন ঝিনাইদহ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুন। ওই জন্ম সনদের ভিত্তিতে কিশোরীকে কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বয়স জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে সংশ্লিষ্টদের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে তলব করা হয়। ঘটনাস্থলে বিয়ের কাজী মাওলানা আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুন, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর নন্দি ও উমেদপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ বর কনের অভিভাবকরা উপস্থিত হন। শুনানীকালে শৈলকুপার উমেদপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের প্যাডে দেওয়া প্রশংসাপত্রটি ভুয়া বলে চিহ্নিত করেন। ফলে ভুয়া প্রশংসা পত্রের বিনিময়ে নেওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভার জন্ম সনদও ত্রুটিপুর্ন বলে বিবেচিত হয়। ফেঁসে যান কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুন। এ ঘটনায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন '১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক দোষী সাব্যস্ত করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুনকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করা হয়। এ সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম বিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ মূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেন।