কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ শেষে হত্যার শিকার শাহিনুর আক্তার তানিয়ার শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি, বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসের সহধর্মীনি আফরোজা আব্বাস।
সোমবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিহত শাহিনুরের শোক সন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তার পিতা গিয়াস উদ্দিনকে শান্তনা দিয়ে আফরোজা আব্বাস বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের পাশে আছেন। ধৈর্য ধরুন, আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন। তিনি আরও বলেন, দেশে একের পর এক খুন, গুম, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলে কোন অপরাধীদের সঠিক বিচার হচ্ছে না। অথচ রাজনৈতিক কারণে প্রহসনের বিচার দেখিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশ আজ এক চরম সংকটের মধ্যে আছে। বিনা ভোটের সরকার যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। আমি সকল গুম, খুন, ধর্ষনের বিচার দাবী করি। দলের চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে বলেছেন নিহত নার্স শাহিনুরের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। আমি সেহরী ও ফজরের নামাজ শেষে ঢাকা থেকে রওনা দেই। তিনি শাহিনুরের পিতার হাতে ৫০হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের খোঁজ খবর রাখবো। স্থানীয় নেতা কর্মীরা আছে, তারা আপনার খোঁজ খবর রাখবেন। এ সময় আফরোজা আব্বাসের সাথে ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপ, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন, জেলা বিএনপি সদস্য গোলাম ফারুক চাষী, বিএনপি নেতা মন্টু মিয়া, লোহাজুরী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাইফুল মতিন জুয়েল, পৌর বিএনপি নেতা আশরাফুল হক দাদন, জেলা যুব দলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, যুবদল নেতা শাহীন, সাজ্জাদ হোসেন, জীবন চন্দ্র দাশ, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সেক্রেটারী নেভিন, উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্র দলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৬ মে সোমবার রাতে স্বর্ণলতা পরিবহনে ঢাকার এয়ারপোর্ট কাউন্টার থেকে কটিয়াদী হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।