সৈয়দপুরে রমজানের শুরুতেই অস্থির হয়ে ওঠেছে মাছ, মাংস ও মুরগীর বাজার। রমজানের পূর্বে মাছ, মাংস ও মুরগীর যে দাম ছিল তা রমজানের শুরুতেই দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সৈয়দপুর শহরের রেল বাজার, গেট বাজার, আধুনিক পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে দামের এ চালচিত্র। রমজানের পূর্বে যেখানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতো ৪২০ টাকা তা বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। মাছ প্রকার ভেদে যেখানে কেজি বিক্রি হতো নিম্নে ২০০ টাকা থেকে উর্দ্ধে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। রমজান শুরু হওয়ায় তা বিক্রি করা হচ্ছে নিম্নে ৩শ থেকে উর্দ্ধে ৬শ টাকা। মুরগী বিদেশী (লেয়ার) যেখানে প্রতি কেজি বিক্রি করা হতো ১৮০টাকা, রমজান শুরু হওয়ায় তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকায়। দেশী মুরগী যেখানে বিক্রি করা হতো ৩শ টাকা, তা বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকায়। গরুর কলিজা যেখানে কেজি প্রতি ছিল ২২০ টাকা তা বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকায়। মুরগী ব্যবসায়ী বাঘা ওরফে কালু জানায়, বিভিন্ন পরিবহন খরচাদির কারণে বর্তমানে দাম বেশী নেয়া হচ্ছে। গরু মাংস ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান একই কথা। এদিকে মাছ ব্যবসায়ী নুর-এ-আইন জানান, অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের কথা। সব মিলিয়ে মাছ, মাংস, মুরগীর দাম হাকানো হচ্ছে দ্বিগুণ বেশী। ক্রেতা সাধারণ বাজারে এসে অনেকটা নিরবে এ সকল ক্রয় করে চলছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারীভাবে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হলেও সৈয়দপুরে তা করা হচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম নিজের ইচ্ছে মত বসিয়ে দেন। এক দিকে দামে বেশী অপর পাশে ওজনে কম দু’দিক দিয়ে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও প্রতারিত হচ্ছেন উভয় দিকে ক্রেতা সাধারণ। রমজান উপলক্ষে মাছ মাংস মুরগীর দাম দ্বিগুণ বাড়ার ব্যাপারে কথা বলেন, বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী ও সৈয়দপুর পৌরসভার শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর আকতার হোসেন ফেকু। তারা জানান, শুধু মাছ মাংস নয় রমজান এলে সবকিছুর দাম কেন যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী থাকলে ক্রেতা সাধারণ উপকৃত হত। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন প্রকার প্রদক্ষেপ না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজের খেয়াল খুশিমত দাম নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছে।