বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা ঘটনা স্বীকার করেছে ঘাতক স্বামী। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বাকীর করে ঘাতক স্বামী রকি হোসেন বলেন, তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল কালামের কিশোরী মেয়ে ফারজানার একমাস আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী পারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর রকি হোসেনের সাথে।
বিয়ের ১৫ দিন পর স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ফারজানাকে সন্দেহ করতো। তাদের দাম্পত্য সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি প্রায় হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুপ নিলো নৃশংসতায়।
গত রবিবার রাত ১ টার দিকে এ নিয়ে আবারো দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রকি হোসেন জানতে চায় মোবাইলে কথা হয় সে ছেলের পরিচয়। ফারজানা না বলায় কৌশলে তাকে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বুকের ওপর পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পার্শ্বে বাঁশঝাড়ে ড্রেনের মধ্যে ফারজানার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা ঘটনা স্বীকার করেছে স্বামী। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।