জাল মর্টগেজ দলিলের মাধ্যমে অন্যের জমি গ্রাস করার অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে মামলা হলেও অপরাধীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত্র ব্যক্তিরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। নয় বছরেও
জাল দলিল সৃষ্টির হোতারা আটক হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়,যশোর শহরের নলডাঙ্গা রোডের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী ইফফাত আরা সিদ্দিকী যশোরের ৮২ নং শংকরপুর মৌজার এস এ ৪৮২ খতিয়ানের এস এ ১১৩৯ নং দাগের মৃত আবদুর রহমান গাজীর নামের ১ একর ৪৬ শতক জমি জালিয়াতী করেছেন। ২০০১ সালের ৯ জুলাই তারিখে ওই সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী পুবালী ব্যাংক যশোর শাখার কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় অন্য ব্যাক্তিকে আবদুর রহমান গাজী সাঁজিয়ে একটি কমিশন দলিল সৃষ্ঠি করে মর্টগেজ দলিলের মাধ্যমে পুবালী ব্যাংক যশোর শাখা হতে ঋণ গ্রহন করেন এবং পরবর্তিতে সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী ব্যাংক থেকে নেওয়া অর্থ পরিশোধ না করে গাঁ ঢাকা দেন।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ আদায়ে ব্যার্থ হয়ে যশোর যুগ্ন জেলা জজ আদালত (অর্থঋন) আদালতে মৃত আবদুর রহমান গাজীকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ০২/২০০৬।
উক্ত মামলায় তার রেখে যাওয়া বৈধ ওয়ারেশ গন দুই পুত্র ও দুইকন্যা জালিয়াতীর ঘটনা জানতে পেরে পুবালী ব্যাংক যশোর শাখার দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ওই জাল দলিলের ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি।
ফলে বাধ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত্র ব্যাক্তিগন ওই জাল মর্টগেজ দলিলের বিরুদ্ধে যশোরের বিজ্ঞ যুগ্ন-জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নম্বর- ২২/২০১০। ওই মামলায় ১ নং বিবাদী করা হয় পুবালী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখার পক্ষে,ব্যাবস্থাপক, ২নং বিবাদী করা হয় পুবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রধান কার্য্যালয়,২৬ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা। ৩ নং বিবাদী করা হয় মেসার্স রিকু মটর্সের প্রোপাইটার মোঃ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী ও ৪ নং বিবাদী করা হয় তার স্ত্রী ইফফাত আরা সিদ্দিকী সহ অন্যান্যদের।
উক্ত মামলার নথী পর্যালোচনায় দেখাযায়, যশোর শহরের ৮২ নং শংকর পুর মৌজায় অবস্থিত এস এ ৪৮২ খতিয়ানের এস এ ১১৩৯ নং দাগের ১.৪৬.০০ একর জমি আবদুর রহমান গাজীর নামে চুড়ান্তভাবে এস এ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। ওই এস এ রেকর্ডীয় মালেক আবদুর রহমান গাজী স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময় দুই পুত্র ও দুইকন্যা ওয়ারেশ রেখে মারাযান। সে মোতাবেক বৈধ ওয়ারেশ গন হচ্ছেন, আবদুর করিম গাজী,লুৎফর রহমান গাজী এবং দুই কন্যা। মেহেরুন নেছা ও জরিনা খাতুন। কিন্তু প্রতারক চক্র তৎকালিন ম্যানেজারের সহযোগীতায় ওই দলিলটি সৃষ্ঠি করেন। পরবর্তিতে ওই ২২/২০১০ মামলাটি বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃক দায়ের কৃত ০২/২০০৬ মামলার অর্ন্তভুক্ত হয়ে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী বা তার স্ত্রী ইফফাত আরা সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বা আদালতে হাজির হননি।
এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে পুবালী ব্যাংক যশোর শাখার বর্তমান ব্যাবস্থাপক মারুফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে ওই জাল মর্টগেজ দলিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জনান,আমি অনেক পরে এসেছি এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না আপনার কিছু জানার থাকলে উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অপর দিকে সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ব্যাপারে- আবদুর করিম গাজীর পুত্র লাল্টু গাজী ওই জালিয়াতীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।