শালিশ বৈঠকে স্বামীর সাথে-স্ত্রী সমেজা খাতুন (২০) সংসার না করতে চাওয়ার অপমানে দুলাল (২২) নামে এক স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আতহত্যা করেছে।
আতœহত্যার ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের কয়েস আলীর ছেলে দুলালের নিজ শয়ন কক্ষে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ৯ মাস পূর্বে হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের কয়েস আলীর ছেলে দুলাল (২২) এর সাথে একই উপজেলার ২নং আমগাঁও ইউনিয়নের জামুন (মশালডাঙ্গী) গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে সমেজা খাতুন (২০) এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কোলাহল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় স্বামীর উপর রাগ করে স্ত্রী সমেজা খাতুন তাঁর বাবার বাড়ি জামুন (মশালডাঙ্গী) গ্রামে চলে যায়। কয়েকদিন যাওয়ার পর দুলাল তাঁর স্ত্রী সমেজা খাতুনকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য শশুর বাড়ি জামুন (মশালডাঙ্গী) গ্রামের যায়। কিন্তু স্ত্রী সমেজা খাতুন আর দুলালের সাথে ঘর-সংসার করবে না বলে দুলালকে জানিয়ে দেয়।
কিন্তু দুলাল স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য একাধিকবার তাঁর শশুর বাড়ি যায় এবং শশুর-শাশুরীসহ স্ত্রীকে অনুরোধ করে সংসার না ভাঙ্গার জন্য। একপর্যায় শশুর বাড়ির লোকজন দুলালের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে জোরপূর্বক তালাক নেওয়ার জন্য আটকেও রেখেছিলো। কিন্তু দুলাল কৌশলে শশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে।
পরে মেয়ের বাবা আবদুস সাত্তার হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (১৩ই মে) সকালে উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয় এবং উভয় পক্ষই যথা সময়ে থানায় হাজির হয়। এএসআই জুনাব আলীর উপস্থিতে আপস মীমাংশার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে থানায় বৈঠক চলে। বৈঠকে দুলাল তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রী সমেজা খাতুনও তার সাথে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়। একপর্যায়ে দুলাল তাঁর পরিবার ও উপস্থিত লোকের সিদ্ধান্তমতে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়ের দেনা-পাওয়া মিটিয়ে দিলেই বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা শুনেই দুলাল বাড়ি চলে যায়। এরপর নিজ শয়ন ঘরে গলায় ফাঁস আতœহত্যা করে। আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের লোকজন দুলালের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পওে থানা পুলিশ দুলালের লাশ উদ্ধার করে।
দুলালের আতœহত্যার বিষয়টি হরিপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আমিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।