পবিত্র রমজানে ইফতার, তারাবী ও ছেহেরীর সময়ে লোড শেডিং না রাখার দাবী জানিয়েছিল কালীগঞ্জের ইমামগন। পবিত্র রমজানে গ্রাহকদের নিরবিছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহে কালীগঞ্জে আবাসিক প্রকৌশলি অফিসের গণশুনানী বিভিন্ন মসজিদের ইমামগন ওই দাবী তোলেন। তাতে করে রমজানে বিদ্যুতের লোডশেডিং দিবে না বলে উচ্চ গলায় বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার রাত ১১ টা থেকে রাত ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত কোন কারণ ছাড়াই বা যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই ১ নম্বর ফিডারের আড়পাড়া এলাকায় বিদ্যুত বন্ধ করে রাখা হয়। গন শুনানিতে বলেছিল রমজান মাসে মাত্র ১৫ মিনিট লোডশেডিং করা হবে।
একদিকে রমজান মাস ও অপর দিকে চলছে এইচএসসি পরীক্ষা, কিন্তু বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ কোন কারণে প্রচন্ড গরমে বিদ্যুত বন্ধ করে রাখলেন। রাত ২ টা ২০ মিনিটে বিদ্যুত দেবার পর আবার ও ৩ টা ১০ মিনিটে রোজাদার ব্যাক্তিদের সেহেরিরত অবস্থায় বিদ্যুত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের বিদ্যুত নিয়ে তামাশা করছিল। কালীগঞ্জ শহরের সব স্থানে বিদ্যুত থাকলে শুধু মাত্র আড়পাড়া এলাকায় বিদ্যুত বন্ধ করে রাখাছিল কোন কারণ ছাড়াই।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোস্পানির কালীগঞ্জ অফিসের আয়োজনে গত ৬ মে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই গণশুনানীতে মসজিদের ইমান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সুধীজনেরা অংশ নেয়। এ সময় আবাসিক প্রকৌশলি (ভারপ্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম উপস্থিত গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে তার সমাধানেরও আশ^াস দেন।
এ দাবীর জবাবে আবাসিক প্রকৌশলি (ভারপ্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম বলেন, বড় ধরণের কোন সমস্যা ছাড়া ইফতার,তারাবী ও ছেহেরীর সময় বিদ্যুৎ লোড শেডিং নেওয়া হবে না। তিনি সরকারের বর্তমান চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত বরাদ্ধ আছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বড় ধরণের কোন সমস্যায় উপজেলার ৪ টি ফিডারে মাত্র ১৫ মিনিট করে লোডশেডিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রায় রাতে ১ নম্বর ফিডারের আড়পাড়া এলাকায় এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত বন্ধ করে রাখা হয়। কোন সময় রাত ১০ টায় বন্ধ বা লো-ভোল্টেজ করে রাখার পর পরদিন সকাল ৬ টায় বিদ্যুত ঠিক হয়। কালীগঞ্জ বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তরা রমজান মানে প্রচন্ড গরমে সেবার নামে অসেবা চলছে ও আড়পাড়া এলাকায় প্রায় রাতে বিদ্যুত বন্ধ রেখে কর্তৃপক্ষ ভেলকিবাজি করে রাখে। কি কারণে বিদ্যুত বন্ধ করে হয় তা জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বলে কোন সমস্যা নাই, মাঝে মধ্যে একটু হয়। লোডশের্ডিং চলছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন না। আবার কালীগঞ্জে আবাসিক প্রকৌশলি (ভারপ্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম বলেন সরকারের কাছে বিদ্যুত অনেক মজুত আছে,কিন্তু এভারে কোন কারণে বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়। নিশ্চয় এটা বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য দায়িত্বরতরা এভাবে ইচ্ছে করে বন্ধ করে রাখছে। বিশেষ করে বেশির ভাগ সময়ে আড়পাড়া এলাকায় লোডশের্ডিং করে রাখা হয় বা লো-ভোল্টেজ করে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে সচেতন মহল মনে করে কালীগঞ্জের সবখানে বিদ্যুত থাকলে ও আড়পাড়া এলাকায় বন্ধ থাকে বিদ্যুত। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।