রাজশাহীর বাঘায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল আহম্মেদ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
বাঘা থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (২৪) এর সাথে বাঘা মহিলা ও বানিজ্যি স্কুল এ- কলেজের ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৭) বন্ধুত্ব হয়। সেই সুবাদে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীর ঘরে দেখা করতে যায় রাসেল। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর চাচা জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে আমার বাড়ির ঘরের ছিটকানি না দিয়ে ঘুমিয়ে ছিল ভাতিজা। এ সময় রাসেল ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুনতে পায়। আমার উপস্থিত টের পেয়ে রাসেল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধরার চেষ্টা করি এবং হাতে থাকা টর্চ লাইট নিয়ে মাথায় আঘাত করি। তারপরও সে পালিয়ে যায়। পরে রাসেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি হয়। সেখান থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে কোন বন্ধুত্ব ছিলনা।
বাঘা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মহাসীন আলী জানান, একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ মামলায় রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মেডিকেলের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।