দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীতে ধারাবাহিকভাবে দুবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এবার চলতি ইরি মৌসুমে দূর্যোগের কবল থেকে ফসল বাচাঁতে আগাম আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, দুদিন ধরে আকাশে হঠাৎ মেঘের গর্জন সাথে ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। ক্ষেতের হাইব্রীড জাতীয় ধান কেবলমাত্র পাকতে শুরু করেছে। পূর্নাঙ্গভাবে পাকতে আরো কিছু দিনের প্রয়োজন কিন্তু কৃষকের তর সইছে না প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়ে দ্রুত ধান ঘরে তুলতে আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছে। ধান কাটার মূহুর্তে বোড়াগাড়ীর কৃষক রবীন্দ্রনাথ, সবুজ, ইদ্রিস নয়ানী গ্রামে পবন, মাছু কেতকী বাড়ী ইউনিয়নে দিনবন্ধু, সুবাশ জোড়াবাড়ী ইউনিয়নে পূর্ন, হরিহর সোনারায় ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত দুই ইরি মৌসুমে শিলাবৃষ্টির কারণে ধান ক্ষেতেই সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়েছে। ধানতো দূরের কথা শিলা বৃষ্টির কারণে খড়টুকুও সংগ্রহ করতে পারিনি। কাচাঁ ধান কাটাতে কিছুটা ক্ষতি হলেও বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে আধাপাকা ধান ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গত মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবারেও আবহাওয়া ভালো না থাকায় শতকরা ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কৃষকদের ধান সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। তবে শতকরা ৮০ ভাগ নিচে কম পাকা ধান কাটলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এদিকে জেলার ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর এবং সৈয়দপুরের কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, এবারে ধানের বাজার মূল্য সরকারিভাবে যা নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু বাজারে তার চেয়ে কম মূল্যে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাদের দাবি তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।