প্রথিতযশা কবি বরিশালের সন্তান হেনরী স্বপনকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন তথ্য দেয়া হয়নি গণমাধ্যমকে। তবে থানা পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে কবি হেনরী স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত তিনদিন থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন প্রথিতযশা কবি হেনরী স্বপন। সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে নানানভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তার বাসভবনে গিয়ে তাকে বরিশালত্যাগ করাসহ রক্তাক্ত জখমের হুমকি প্রদান করেন।
রবিবার সকালে কবি হেনরী স্বপন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে আমার কক্ষে লেখালেখির কাজ করছিলাম। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বাসার জানালায় দাঁড়িয়ে যুবক কন্ঠে অজ্ঞাতনামা দু’জন সন্ত্রাসী আমার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পাশাপাশি স্বগোত্রীয় লোকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি বন্ধ কর অন্যথায় অঙ্গহানী ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। তিনি আরও বলেন, এ সময় আমাকে কলোনীর জায়গা থেকে উৎখাত ও বরিশাল ত্যাগের জন্য বলা হয়। একপর্যায়ে আামি আতঙ্কিত হয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে হুমকিদাতারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আতংকগ্রস্থ হয়ে পরেছিলেন কবি হেনরী স্বপন।
সূত্রমতে, হেনরী স্বপন দীর্ঘদিন যাবৎ তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের নানান অসঙ্গতী, অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার রয়েছেন। যেখানে বাদ পরেনি স্বসম্প্রদায়, স্নেহভাজন, আস্থাভাজনসহ কেউই। তার এই সাহসিকতায় তিনি সম্প্রতি গোটা দেশব্যাপী বেশ আলোচনায় আসেন। এরপর থেকেই ঘনিষ্টজনদের একটি মহল তার বিরোধীতা করে আসছিল। এমনকি বিরোধীতাকারীরা নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ, ২০১৫ সালে বরিশালের মুক্তমনা ছয়জনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি প্রদান করা হয়। যে ঘটনায় ছয় জনের পক্ষে হেনরী স্বপন বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন।