গাজীপুরের কালীগঞ্জে হারবাল পদ্ধতিতে আগুনে পোড়া রোগের ওষুধ আবিষ্কার করে ডা. খন্দকার মাইনুল আলম ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার ওষুধ ব্যবহার করে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার আগুনে পোড়া রোগী শতভাগ সফলও হয়েছে। ডা. খন্দকার মাইনুল আলম উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মরহুম খন্দকার নুর রহমানের পুত্র।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. তাজুল ইসলাম খানের ছেলে মোহাম্মদ আলী খানের (৯) বাম পা আগুনে পুড়ে যায়। পরে ডা. খন্দকার মাইনুল আলমের চিকিৎসায় বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ্য এবং তার পায়ে আগুনে পোড়ার কোন চিহ্ন পর্যন্ত নেই। এ বিষয়ে কথা হয় বক্তারপুর ইউনিয়নের রয়েন গ্রামের ৬০ ভাগ আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগী শারিকুল ইসলাম হিরন (৩৫) এর সাথে। হিরন জানান, আগুন লেগে তার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগই পুড়ে যায়। ডা. মাইনুল আলমের সন্ধ্যান পেয়ে তার কাছে ছুটে যাই। যাওয়ার পর তার ওষুধ লাগানো মাত্র মনে হয়েছে কে যেন তার শরীরে বরফ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। আর মুহুর্তেই শরীরের সকল যন্ত্রণা চলে যায়। নিয়মিত ওষুধ ব্যবহারে মাত্র এক মাস সময়ের মধ্যেই আমি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যাই। বর্তমানে আমার শরীরে আগুনে পোড়ার কোন চিহ্নও নাই। এ ছাড়াও ডা. মাইনুল আলমের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়া মো. হাফিজ উদ্দিন(৫০), রেহেনা বেগম(৩০), মাহাবুব মিয়া(১৬), জজ মিয়া(৪৫), সালেহা বেগম(৪০) ও তামান্না বেগম(৫) সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০জন রোগীর সাথে আলাপকালে তারাও ডা. খন্দকার মাইনুল আলমের ঔষধের গুনগান করেন। তাদের ভাষ্যমতে ডা. খন্দকার মাইনুল আলম আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য একজন শতভাগ সফল চিকিৎসক। যে কোন ধরনের আগুনে পোড়া রোগীদের সেবা নিতে ডা. মাইনুল আলম খন্দকার, প্রোঃ তামিম ফার্মেসী, ফুলদী বাজার, কালীগঞ্জ, গাজীপুর অথবা মোবাইল নম্বর ০১৭১৪-২৯৬০৯৪ ও ০১৮২৭-৫৩৪৪১৩ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ডা. খন্দকার মাইনুল আলম বলেন, সম্পূর্ণ হারবাল পদ্ধতিতে নিজে ওষুধ তৈরী করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। আমার বানানো ওষুধ ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। ৩০ বছরে প্রায় ৫ শতাধিক আগুনে পোড়া রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে আমি সুস্থ্য করেছি। আমার আশ্চর্যকরী চিকিৎসার সংবাদ পেয়ে ঢাকা মডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট থেকে বহু রোগী আমার কাছে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন। তাছারা তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়েও অনেক পোড়া রোগীদের চিকিৎসা করেছেন বলে জানান। তিনি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলেন, তার কাছে চিকিৎসা নেয়া রোগীগণ সুস্থ্যতো হনই বরং পরবর্তীতে তাদের শরীরে আগুনে পোড়ার কোন দাগও থাকে না। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের নিকট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সুযোগ করে দেওয়ার দাবী জানান।