চলতি অর্থ বছরে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলফামারী জেলার ৩ টি উপজেলার ১২টি জলাশয় সংস্কার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১২ হেক্টর জলাশয় সংস্কার হওয়ায় এখন ওইসব এলাকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি সহ মৎসজীবীদের আয় রোজগার বাড়বে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের এসব জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জেলা মৎস্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় পূনঃখনন করা হয়েছে এসব জলাশয় বা পুকুর। মৎস্য বিভাগ সুত্র মতে, জেলার সদর উপজেলার ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাঞ্চনার পুকুর, ১৭ লাখ ৮১০ টাকা ব্যয়ে বাঁশপুকুর, ৮ লাখ ৮৪০ টাকা ব্যয়ে কিসামত দলুয়া পুকুর, ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তর হাড়োয়া হাবিবিয়া মাদ্রাসার পুকুর ও ৯ লাখ ৭৫০ টাকা ব্যয়ে মোংলা পুকুর, সৈয়দপুর উপজেলার ৭৭ লাখ ৮৬০ টাকা ব্যয়ে কুন্দুল বিল (৪ অংশ), ডোমার উপজেলার ২৮ লাখ ৩৩০ টাকা ব্যয়ে বুধুলির বিল (২ অংশ) এবং ১৫ লাখ ৫৪০ টাকা ব্যয়ে চামুয়ার বিল (জলাশয়) পুনঃখনন করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ময়লা আবর্জনা আর মাটিতে ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর ও বিলগুলো (জলাশয়) স্কেভেলিটর বা ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করা হয়। এই মেশিন দিয়ে পুকুরের তলদেশ থেকে মাটি কেটে বাঁধা হয় পুকুরের পাড় (বাঁধ)। পাশাপাশি প্রতিদিন ৩০/৩৫ জন শ্রমিক এক একটি পুকুরের পাড় বাধার কাজ করেছেন। খননের পর পুকুরের পাড়গুলোর স্থায়ীত্বের জন্য লাগানো হয়েছে ঘাস। স্থানীয় লোকজন জানান জলাশয় গুলো এত দিন ময়লা আবর্জনা আর মাটিতে ভরাট হয়ে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ছিল। এখন খননের ফলে একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে পুকুরগুলোর সৌন্দর্য, তেমনি ফিরে এসেছে পুকুরগুলো প্রাণ। অধশা করা হচ্ছে এখন বিল ও পুকুর গুলোতে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যাবে। এতে করে জেলায় মাছের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে বলে তারা জানান। নীলফামারী জেলা মৎস্য অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সরকারী শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে খনন কাজ শেষ করে পাড়ে ঘাস লাগানো হয়েছে। এতে করে পুকুরগুলোর টেকসই ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, জলাশয়গুলো পুনঃখনন হওয়ায় জেলায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মৎস্যজীবী ও জেলে পরিবারগুলো উপকৃত হবেন।