যশোরের কেশবপুরে পাঁজিয়া ইউপি ভায়া গড়ভাঙ্গা পাকা সড়ক নির্মাণে আমা ও নিন্মমানের রেইন স্পট ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার সড়কটি পাকাকরণের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নীরব। এ ঘটনায় এাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরোজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের নূড়িতলা বাজার থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে বেলকাটি,, নেপাকাটি, সাতাইশকাটি,, পাঁজিয়া, সাগরদত্তকাটি গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর ও মনিরামপুর উপজেলার মুজগুন্নি, হরিনা, রামভদ্রপুর দূর্বাডাঙ্গাসহ কমপক্ষে ১৫ গ্রামের ৫০ হাজার লোক চলাচল করে থাকেন। জনগণের ব্যাপক চলাচলের কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা-পানি জমে থাকে। এ ছাড়া ওই গ্রামগুলির ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, গড়ভাঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, গড়ভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজে আসা যাওয়ায় সিমাহীন দুর্ভোগ পেহাতে হয়। পথচারী ও হাটুরেরা বাজার সওদা ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাজ সারতেও রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে বর্ষাকালে এলাকার জনগণকে বাধ্য হয়ে গড়ভাঙ্গা, পাঁজিয়া বাজারে ঢুকতে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ওই বাজার দু‘টিতে বিকিকিনি করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্য্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জনগণের দাবির মুখে এলজিইডি দপ্তরের জিজেডিপি প্রকল্পের আওতায় ওই সড়কের ১৫‘শ মিটার (৪৯২০ ফুট) পাকাকরণে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬১ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩ মিটার প্রস্থের (৯ ফুট ১০ ইঞ্চি) ওই সড়ক পাকাকরণে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী কাজ শুরু করে ১১ জুনের মধ্যে শেষ করার শর্তে কাজটি পান যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রেনু এন্টারপ্রাইজ। বেলকাটি গ্রামের সিনদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান, মোশারাফ হোসেন মানিক অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সড়কের বক্সকাটিং করার পর ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ১ ঝুড়ি বালি ও ১ ঝুড়ি খোয়া দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ২ ঝুড়ি বালি ও ১ ঝুড়ি আমা খোয়া। সড়ক নির্মাণের শুরু থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে আমা ইটের খোয়া ও নিন্মমানের রেইন স্পট ইট। ফলে সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এলাকার জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ মে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে ওই রাস্তাটি পরিদর্শনকালে এসব অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরও নিন্মমানের ইট ও খোয়ার ব্যবহার অব্যাহত থাকায় ওই ঠিকাদারের খুটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর রহমান বলেন, ইট আনার সময় ২/১ গাড়ি নিন্মমানের ইট আসতেই পারে। সরেজমিনে গিয়ে নিন্মমানের ইটের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তবে তুলনামূলক ভাবে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ভালো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।