যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সে খাসি জবাই করে খাওয়ায় এতিমদের। এমনটি ঘটেছে নীলফামারীর জলঢাকা আদর্শ পাড়া গ্রামে। ৫ মে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরের চিংড়ি মাছ প্রতীকের বিজয় হলে খাসি জবাই করে এতিমদের খাওয়াবো। এমন মান্নত করেছিলেন উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী অধিদপ্তরের পিয়ন হুমায়ূন কবীর। তার এই মান্নত পুরণে রোববার তারাবীহ নামাজ শেষে জলঢাকা মাথাভাঙ্গা আদর্শ পাড়া আল জামিয়াতুল মাদানিয়া হাফিজিয়া কওমী এতিমখানা মাদ্রাসার ৪০ জন হাফেজ ছাত্র সহ প্রায় শতাধিক তারাবীহ নামাজের মুসল্লিদের নিজ উদ্যোগে খাসি জবাই করে খাওয়ান তিনি। আর তার এই উদ্যোগে খুশি হয়ে সবধরণের সহযোগিতা করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আবুল কালাম প্রামানিক ও প্রতিবেশী তহিদুল ইসলাম। মাদ্রাসা কমিটির সহসভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ একে আজাদ জানায়, এমন ভক্ত কয়জন হয় যে অন্যের জন্যে মান্নত করে এতিমদের খাওয়ায়। সে গরীব হতে পারে কিন্তু তার মনটা অনেক বড় এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নানান স্বরযন্ত্র হয়েছিল, একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে সে ওটাকে মেনে নিতে পারেনি তাই হুমায়ূন কবীর নির্বাচনের আগে এরকম মান্নত করেছিল যা আজকে বাস্তবায়ন হলো। তাছাড়াও সে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের একজন ভক্তও বটে। এতিমদের খাওয়ানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মন্নান, সাবেক পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু, মাদ্রাসাটির সহসভাপতি সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার তায়েবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মওলানা নুরুল ইসলাম সহ সম্পাদক আ শ ম ফরিদ উল হাসান ও হাফেজ মাহবুব হোসেন প্রমুখ। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেছেন একটি মডেল উপজেলা গড়তে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সাধারণ জনগণকে সাথে আমি কাট করতে চাই।