বরিশালের বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদী পাড়াপাড়ের জন্য বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়া ঘাটের নাম মাত্র মূল্যে ইজারা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় সরকার হারাতে বসেছে অর্ধকেটি টাকার রাজস্ব। অনুসন্ধানে জানাগেছে, বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারা দেওয়ার জন্য বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে সেই অনুযায়ী চলতি ৬ বৈশাখ সংবাদ পত্রের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। এ সময় কোন দরদাতা না থাকায় পরবর্তীতে ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে দ্বিতীয়বার একই প্রক্রিয়ার দরপত্র আহবান করা হয় সেখানেও কোন দরদাতা না থাকায় ২৭/০৩/২০১৯ তারিখে তৃতীয়বারের মত পুনরায় দরপত্র আহবান করা হলে সেখানে পারভেজ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একাই দরদাতা হিসেবে দরপত্র ক্রয় করেন। যার মূল্য ছিলো সরকারী রাজস্ব সহ প্রায় ৪৬ লাখ টাকা। কিন্তু সেখানে জেলা পরিষদের সম্ভব্য মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে দরপত্র দাখিল করায় আবারো ০৩/০৪/২০১৯ তারিখে একই নিয়মে দরপত্র আহবান করেন। সেখানেও প্রকৃত দরদাতা না থাকায় পর্যায় ক্রমে ২৪/০৪/২০১৯ তারিখে ও ৬/০৫/২০১৯ তারিখে দরপত্রে জন্য আহবান করা হয়। সেখানেও জেলাপরিষদ নির্ধারিত মূল্যের অনেক কম মূল্যের দরদাতা থাকায় আবার গত ১৩/০৫/২০১৯ তারিখে দরপত্র আহবান করেন। সেখানে পারভেজ ট্রেডার্স ও আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি দরপত্র ক্রয় করেন। সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা আলমগীর হোসেন দর প্রদান করেন ৭৪ লখ ৫০ হাজার টাকা তার বিপরীতে পারভেজ ট্রেডার্সের পক্ষে ৬৬ লাখ টাকা দর প্রদান করেন। সেই অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আলমগীর হোসেন কে ইজারা প্রদান করা হয়। যেখানে গত বছর একই ঘাটের ইজারা ছিলো ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা যার ইজারাদার ছিলেন আসাদুজ্জামান মেনন সরদার। সেখান এত কম মূলে ইজারা প্রদান করায় মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে পারভেজ ট্রেডার্সর পরিচালক মাইনূল ইসলাম পারভেজ অভিযোগ করে বলেন যেখানে ইতঃপূর্বে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দুইবার বিবেচিত হয়েছি। কিন্তু সেখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম টেন্ডার বাতিল করে সপ্তম বারের দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা মূল্যের ইজারা নামে মাত্র মূল্যে আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গেছে নতুন ইজারা চুক্তিতে জেলা পরিষদ থেকে ঘাটটির নির্ধারিত মূল্য ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু প্রায় অর্ধেক মূলে মীরগঞ্জ খেয়া ঘাটের ইজারা প্রদান করায় সরকার হারাতে বসেছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব। সপ্তমবারের দরপত্রের সর্বোচ্চ দরদাতা আলমগীর হোসেন বলেন নিয়ম অনুযায়ী আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছি। এদিকে পারভেজ ট্রেডার্সের পরিচালক মাইনূল ইসলাম পারভেজ বলেন, উৎকোচের বিনিময়ে নয়, ইজারর টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হোক। সে মর্মে তিনি সরকারি নির্ধারিত টাকায়ই ইজারা পেতে ইচ্ছুক। পারভেজ ট্রেডার্সের পরিচালক দাবি করেন বলেন অষ্টম বার দরপত্র আহবানের জন্য এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন। প্রকৃত দরদাতা ঘাটটির ইজারা পায় এবং সরকার যাতে সরকারী রাজস্ব থেকে বঞ্চিত না হয়। এদিকে পুনরায় দরপত্র আহবানের জন্য বুধবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন বলে কালেন কন্ঠকে জানান তিনি। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মইদুল ইসলাম বলেন দরপত্রের নোটিশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। তারপরেও আবেদনের বিষয়টি আইনে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।