নওগাঁর পোরশায় জোর পূর্বক জমির ধান কেটে নিয়ে আসার কারনে থানায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ধান উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রাম বাসীর হামলার স্বীকার হয়েছেন। এতে এএসআই বাকী ও পুলিশ সদস্য বাবুল আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের পোরশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে বলে কতৃপক্ষ জানান। জানাগেছে, উপজেলার সোমনগর সুতলী গ্রামের সেকেন্দারের ছেলে হারুন রশিদ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সুতলী মৌজার পৌনে ৫বিঘা জমি চাষাবাদ করে আসছেন। একই গ্রামের আনারুলের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধীক লোকজন বুধবার দুপুরে উল্লেখিত জমি তাদের পিরত্তর মালীকানাধীন বলে দাবী করে ধান লুটপাঠ করে বাড়ি নিয়ে আসেন। এসময় জমির মালিক হারুন খবর পেয়ে সেখানে গেলে তাকে তারা ধাওয়া করে। ঘটনা স্থল থেকে সে পালিয়ে এসে তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ে সুতলী গ্রামের ৩৩জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় অভিযোগ করলে পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ সন্ধায় ধান উদ্ধারের জন্য সুতলী গ্রামে যায়। এসময় আনারুলের নেতৃত্বে পুরুষ মহিলা সহ অর্ধশতাধীক লোক পুলিশের উপর হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য থানা পুলিশ ১২রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন এবং ২জন মহিলা সহ ৫জন আসামীকে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন সুতলী গ্রামের হামিদের ছেলে আনারুল(৩৮), তাজের ছেলে মঞ্জুরুল(২২), হাই বাবুর ছেলে আব্দুল্লাহ(৫০), জসিমের স্ত্রী হালিমা(২৫) ও রবিউলের স্ত্রী মারুফা(২২)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং চুরি করা ধান উদ্ধার করতে গিয়ে ওই পরিস্থিতিরি সৃষ্টি হয় বলে জানান। এবিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে পোরশা থানায় সেকেন্দারের ছেলে হারুন ধান উদ্ধারের জন্য একটি মামলা ও এসআই শীতল কুমার বাদি হয়ে ১৫জন সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫জনকে আসামী করে একটি পুলিশ এ্যাসোল্ড মামলা দায়ের করেছেন।