রাজশাহীর মোহনপুরে সুসাইড নোট লিখে অবশেষে অপহৃত ৯ম শ্রেনীর সেই স্কুল ছাত্রী আসামির পক্ষের লোকজনের অপমান সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলছাত্রী বাবা বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে অত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন অপহরণ মামলার আসামি মুকুল হোসেনের নানী সকিনা বেগম (৬৫), খালাতো ভাই রাব্বি (২০), ও প্রতিবেশি আব্দুর রহমান। গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরের আব্দুল মান্নান চাদের মেয়ে বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষা (১৪) প্রায় সময় সময় পাশের বাড়ির আনিস উদ্দিনের ছেলে মুকুল (১৮) তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী শরিফুল ইসলামের মেয়ে বান্ধবী (ক্লাসমেট) সোনিয়ার সহযোগিতায় স্কুলছাত্রী বর্ষাকে আসামি মুকুল হোসেন মুখে রুমাল চেপে অপহরণ করে। ওইদিন খানপুর বাগবাজার এলকার লোকজন অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে খরব দিলে তারা উদ্ধার করে প্রথমে মোহনপুর উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে হন্তান্তর করে। এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মোহনপুর থানায় গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের নাম উল্লেখ ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মোহনপুর থানা পুলিশ ২৭ এপ্রিল অপহণকারি মুকুল হোসেন (২০) ও বান্ধবী সোনিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। তার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আসামির পরিবারের লোকজন। প্রতিনিয়ত স্কুল ছাত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে আসামি পক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় স্কুল ছাত্রী পুকুরে গোসল করতে গেলে আসামি পক্ষের লোজকন আবারও অকথ্যভাষায় করলে স্কুল ছাত্রী বর্ষা বাড়ি ফিরে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। বিকেল ৪ টার সময় সুসাইড নোট লিখে পাশের শয়নকক্ষে বাঁশের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।