রোদ্রে পথচারীদের সামান্য জিরিয়ে নিতে আশ্রয় নেয়া, দলবেঁধে বন্ধুরা ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয় যে গাছের গড়ায়, শত বছরের সেই ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি (শান্তি গাছ নামে পরিচিত) ঘুর্নিঝড়ে উপড়ে পড়েছে। শুক্রবার ভোর পাঁচ টার দিকে প্রচন্ড বেড়ে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ায় গাছটি উপড়ে পড়ে। ডোমার পৌরসভা এলাকার খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সাহাপাড়া এলাকায় এ গাছটির অবস্থন। উপড়ে পড়া শান্তিগাছটি দেখতে সাহাপাড়ার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আসছে। অনেকে আবেগাল্পুত হয়ে গাছটির সাথে শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরছেন। ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ হোসেন ও গোলাম মোস্তফা আবেগালুপ্ত হয়ে জানান, এই বট গাছটি আমাদের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে উত্তপ্রোৎভাবে জড়িত। আমাদের বাবা-দাদারাও এ গাছের নিচে বসে আড্ডা দিত। আমরাও শৈশবে এখানে আড্ডা দিয়েছি। এখন আমাদের ছেলেরাও এখানে আড্ডা দেয়। মেতে উঠে খোঁশগল্পে। আরো কত স্মৃতি। পরের প্রজন্মের কাছে এ গাছটি রুপকথার গল্পের মতোই থাকবে। তারা আর পাবে না এ গাছে শান্তির পরম। এ কথা ভাবতেই বুঁকটা কেঁপে উঠছে।
তারা আরো জানান, এ গাছের ছায়ায় পরম শান্তি পাওয়া যেত বলে ওই বটগাছটির নামও শান্তি গাছ রাখা হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকাটি শান্তির মোড় নামে পরিচিত হয়। শান্তি গাছের নিচে মানুষের বসার জন্য স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী লালুয়া সাহা গাছে চারিদিকে পাঁকা বেঁদী তৈরী করে দেয়।
ডোমার খাদ্য দুগাম কর্মকর্তা তালিকুল ইসলাম জানান, খাদ্য গুদামের দেওয়ালের সাথে ঘেঁষা গাছটিতে গোডাউনে চাল ও গম লোড আনলোড করার পরে লেবাররা বেঁদীতে কেউ বসে আবার কেউ শুয়ে বিশ্রাম নিত। আমিও অসংখ্য বার শান্তি গাছের নিচে বসে শান্তির পরশ নিয়েছি।