নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গৃহকর্মী কিশোরী ধর্ষণে ৬মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরী গৃহকর্মী একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় ৬মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হলেই স্থানীয়ভাবে ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে মোস্তাফা। শিশুর পিতার স্বীকৃতি না পেয়ে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছে ধর্ষক মোস্তাফা। ধর্ষক মোস্তাফার কোন খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজগ্রাম থেকে মোস্তফার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মর্জিনা খাতুন , মা রাবিয়া খাতুন,বোনজামাই দিলোয়ার হোসেন কে আটক করে থানা পুলিশ। আটকের বিষয়টি জানতেপেরে পলাতক থাকা ধর্ষক মোস্তাফা ঐদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানায় আত্মসমর্পণ করে।
তাঁকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেণ। আটক করা তিনজনকে অবশ্য পরে ছেড়েদেয় পুলিশ। উল্লেখ্য যে, মোস্তফার নিজ গৃহের গৃহকর্মী কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঐ কিশোরী বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শিশুর পিতার স্বীকৃতি দিতে চাইলে সে প্রকাশ্যে হুমকী দেন। অবশেষে কিশোরীর বাবা ২২এপ্রিল দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেণ প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২৩এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড করেন পুলিশ। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ ( ওসি ) মোঃ মিজানুর রহমান দাবীকরে বলেন ধর্ষক মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।