বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্তরায় বহু জিনিস আছে তবে এই আইনটা তার মধ্যে একটা। এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা মুক্তবুদ্ধি চর্চা করতে চায় না । সামাজিকভাবে আমরা মুক্তবুদ্ধি চর্চার বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকার যখন একটা আইন এবং সেটা সাধারণত সেই আইন সরকার বিরোধী মানুষের বিপক্ষে যায় তখন আমরা প্রতিবাদ করি এমনটা মনে করেন লেখক, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা গোবিন্দগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম রফিক।
তিনি বলেন এই মামলায় আগের থেকে গ্রেফতার কমেছে। গত ছয় মাসে উল্লেখযোগ্য হারে তেমন কোনো গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই আইনটা সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করেছে। যতো সময় পর্যন্ত এ রকম একটা আইন থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ আইনটা নিয়ে প্রশ্ন করতেই থাকবে।
আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারায় সাম্প্রতিক সময়ের কবি হেনরী স্বপন এবং মুক্তমনা লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত সিদ্ধান্ত নেবে তাদের কি করা উচিত। সাধারণত এ আইনটির কোন জনপ্রিয়তা নেই। মানুষ মনে করে এই আইনের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা হয়। কেউ যখন এই আইনের অধীনে গ্রেফতার হয় তখন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠে যে, শত্রুতাবশতঃ আটক করা হলো। এই আইনের বিষয়ৈ কিছুটা হলেও সরকারের দায় বর্তায়। সরকার আর একটু সফলভাবে যাচাই বাছাই করে গ্রেফতার করতো তাহলে ভালো হতো।