নওগাঁর রাণীনগরে কাল বৈশাখী ঝড়ে প্রায় ২০ /২৫ টি গ্রামের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে । বাড়ী-ঘর,ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,আমসহ গাছপালা ভেঙ্গে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ শতাধীক বাড়ী-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে এবং তার ছিরে যাওয়ায় বিদ্যুতহীন হয়ে পরেছে পুরো উপজেলা ।
শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ হঠাৎ করেই পশ্চিম- উত্তর কোনে কালো মেঘ দেখা দেয়। এর কিছু পরই হালকা বাতাস থেকে গতিবেরে কাল বৈশাখী ঝড়ে রুপ নেয়। ঝড়ের তান্ডব চলতে থাকে প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে। এতে রাণীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের করজগ্রাম, খাঁনপুুর, ভেবরা,কালীগ্রাম,আবাদপুকুর,সিলমাদার,ডাকাহার,দামুয়া,কয়াপাড়া,জেঠাইল,পাকুরিয়া,একডালা,জলকৈসহ অন্তত ২০/২৫টি গ্রামের ৫ শতাধীক বাড়ী-ঘড়.ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। আকর্স্মিক এই ঝড়ে অধিকাংশ ঘর-বাড়ী,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চাল উরে গেছে। ঝরের তান্ডবে তালগাছসহ হাজার হাজার গাছপালা ভেঙ্গে গেছে । এতে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পথচারী এবং স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে রাস্তা চলাচলের উপযোগি করে।এছাড়া আবাদপুকুর কলেজ,ডাকাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। এসময় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিরে পরে যায় । এই ঝরে গাছের আমসহ চলতি মৌসুমের অধিকাংশ ফল ঝরে পরে যায় । পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রাণীনগর উপজেলা শাখা বিলিং অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান জানান,ঝরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে এবং পনেরটি খুঁটি হেলে পরে গেছে। এছাড়া প্রায় ৬২টি স্থানে তার ছিরে গেছে । যার ফলে রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুতহীন হয়ে পরেছে । ইতি মধ্যে গতকাল শনিবার কিছু কিছু এলাকায় মেইন লাইন চালু করতে পারলেও বিদ্যুৎ পরিস্থীতি পুরোটা স্বাভাবিক হতে আরো দু’একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান,প্রাথমিকভাবে ৩/৪শত বাড়ী-ঘড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমনটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে তালিকা তৈরি শেষ হলে ক্ষতির সঠিক পরিমান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাণীনগর উপজেলা কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ঝরের তান্ডবে উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে । এতে ঘর-বাড়ী,ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গাছ পালা ও ফলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে । ইতি মধ্যেই বাড়ী-ঘর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তালিকা না করে এক্ষনি বলা যাচ্ছে না।