রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখীর তান্ডবে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ীঘরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। রাস্তার পাশের গাছপালা, বৈদ্যুতিক পিলার মাটির সাথে লুটিয়ে পড়ায় ওই এলাকার লোকজন নানান সমস্যায় দিন পার করছে।
শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, রিশিকুল ইউনিয়নের ভানপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ীর টিনের চাল উড়ে গিয়ে ফাঁকা মাঠে পড়ে আছে। পুরো বাড়ী বৃষ্টিতে ভিজে দেওয়াল পড়ার উপক্রম হয়ে আছে। চব্বিশ নগর গ্রামের রাকিব ও আব্দুল হকের বাড়ীর অবস্থা একই । তাদের পুরো বাড়ীর টিন , চাল উড়ে গিয়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়েগেছে। সারারাত খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানের পর দিনে বাড়ীঘর গোছানের কাজ করছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন গরীব দিনমজুর হওয়ার ফলে অর্থাভাবে বাড়ীঘর ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ভাড়ী ঝড় হাওয়ার সাথে প্রচার শিলাবৃষ্টির কারণে আম,লিচুসহ নানান ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তার পাশের বাগানের গাছ ও ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে আছে এতে করে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ৮-১০ টি বৈদ্যুাতিক পুল ঝড়ে পড়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকেল হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন প্রচন্ড গরমে কষ্টে দিন পার করছে।
সেইসাথে ঝড়ের কবলে পড়ে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। ভানপুর চব্বিশনগর গ্রামের এনামুলহক বাড়ী ঘরের টিনচাল পড়ে এনামুল হক (৪৫) এর মাথা কেটে যাওয়ার ফলে মাথায় তিনিটি সেলাই পড়েছে। সেই সাথে ইমরান আলীর (২০) হাত ভেঙ্গে ও লাল মোহাম্মদের (৫২) পিঠের মেরুদন্ডে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে বাড়ীঘর উড়ে যাওয়ার খবর শুনে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সকালেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ছুটে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। তিনি এলাকা পরিদর্শন করে সবার সাথে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এই সময় রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার উপস্থিত ছিলেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার বলেন, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক ভাবে মনিটরিং করার জন্য মাঠে কাজ করছি। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করে তাদের সরকারি সহায়তা দেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবে বলে জানান।
এদিকে এলাকার লোকজন দাবি জানান, দ্রুত সরকারি সহযোগিতা না করলে তারা ঝড়ে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের প্রচুর বেগ পেতে হবে বলে দাবি করেন।