প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো নীলফামারী সদর উপজেলায় পদায়ন করা হয়নি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজা উদ দৌলা। জেলা সদরে শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদই শূণ্য নয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদও শূণ্য রয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে। জেলা সদরের প্রশাসনিক দুটি পদ শূন্য থাকায় স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সহকারী কমিশনার (ভুমি) কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান সহকারী ভূমি (এসিল্যান্ড) নাহিদ তামান্না। তিনি ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করবেন আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে। সূত্র জানায়, এসিল্যান্ড থাকাবস্থায় মাসে শতাধিক খারিজের কাজ হলেও কর্মকর্তা না থাকায় খারিজসহ ভূমি সংক্রান্ত কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে এই দায়িত্ব্ পালন করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কিন্তু নীলফামারী সদর ইউএনও বদলি হওয়ায় পদ দুটি শূণ্য হয়ে রয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া ২১ মার্চ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় যোগদান করেন। এখানে অতিরিক্ত হিসেবে ২২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া। দুই উপজেলায় অতিরিক্ত চাপের কারণে সদরের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ২৮মার্চ থেকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব নেন জলঢাকা ইউএনও সুজা উদ দৌলা। অদ্যাবধী পর্যন্ত রয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সুজা উদ দৌলা জানান, দুই উপজেলারই কাজ করতে হচ্ছে জলঢাকায় থেকে নতুবা নীলফামারীতে এসে। স্বাভাবিকভাবে নিজ দপ্তরের দাপ্তরিক কাজের একটু ব্যাঘাত ঘটবে। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে জানানো হয়েছে। দ্রুত সদরে ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হতে পারে।