ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জমজ দুই ভাই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল খুলনার আড়ংঘাটা থানার ভেলিগাতি বাইপাস মোড়ের বড়ইতলা মোড়ে। মটর সাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমখি সাথে সংঘর্ষে এ ধূঘটনা ঘটে। নিহতদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার আগমুন্দিয়া নামক গ্রামে। জমজ দু,ভাই একসাথে এসেছিল আবার এক সাথে চোলে গেল।
নিহত মাহিন হোসেন (সান) ও সাকিন হোসেনের(ষ্টার) চাচা জাকির হোসেন বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মটর সাইকেলে দৌলতপুর যাচ্ছিল এক মটর সাইকেলে ৩ জন। যাবার সময় পথিমধ্যে বড়ইতলা মোড়ে পৌছালে মটর সাইকেল একটি প্রাইভেটের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মটর সাইকেল চালক হৃদয় হাছান ও মহির হোসেন নিহত হয়। আহত অবস্থায় সাকিন কে হাসপাতালে ভর্তির পর সে ও মারা যায়। মটর সাইকেলে এক সাথে হৃদয়(১০) মাহির (১০) ও সাকিন (১০) এক সাথে যাচ্ছিল। এরা এক সাথে ৩ জন ফুলবাড়ি এলাকায় তাহফিযুস সুননাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হাফেজি পড়তো। জুম্মার নামাজ শেষে তারা ৩ জন এক মটর সাইকেলে হৃদয়দের বাড়িতে যাচ্ছিল। দূঘটনার সময় ঘটনাস্থলে হৃদয় নিহত হয় এবং জমজ দুই ভাই চিটকে রাস্তার পাশে রাখা বিদ্যুতের পোলের উপর পড়ে। এরঅকাবাসি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। দূঘটনায় প্রাইভেট কার মটরসাইকের দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহত জমজ দুই ভাই কালীগঞ্জ রায়গ্রাম ইউনিয়নের সাকে চেয়ারম্যান ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য মোদাচ্ছের হোসেনের বড় ভায়ের ছেলে। দু,ভায়ের লাশ এলাকায় আসার পরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত মাহিন ও সাকিনের বাবা খুরশিদ আলম খুলনা রেলওয়ে পুলিশের উ্প-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত রয়েছে। খুরশিদ আলমের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার আগমুন্দিয়া নামক গ্রামে। খুলনা দৌলতপুর এলাকার আন্জুমান এলাকায় বসবাস করতো। এদিকে শুক্রবার রাতেই মাহিন ও সাকিনের লাশ কালীগঞ্জ আনা হয় এবং শনিবার জহরের নামাজ শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাপন সম্পন্ন করা হয়।