ভাবে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। কৃষকরা উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে সরাসরি ধান সরবরাহ করতে পারবেন। এ বছর ১০২৪ টাকা মণ বা ২৬ টাকা কেজি দরে সরকারি ভাবে ধান ক্রয় করা হচেছ। ইতিমধ্যে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে খাদ্য গুদামে।
কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, ১১ টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভাসহ সমগ্র উপজেলায় এবার ৪১৮ মেঃ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মেধ্যে সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৩৬ মেঃ টন, জামাল ইউনিয়নে ৩৬ মেঃ টন, কোলা ইউনিয়নে ৪৮ মেঃ টন, নিয়ামতপুর ইউনিয়নে ৩৩ মেঃ টন, শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নে ১৯ মেঃ টন, ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে ৩৬ মেঃ টন, রায়গ্রাম ইউনিয়নে ৩৯ মেঃ টন, মালিয়াট ইউনিয়নে ২৭ মেঃ টন, বারবাজার ইউনিয়নে ৩৯ মেঃ টন, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে ৩৩ মেঃ টন, রাখালগাছি ইউনিয়নে ৪৫ মেঃ টন ও পৌর এলাকা থেকে ২৭ মেঃ টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১৩ মে থেকে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসাদুল হক জানান, ধান-চাল ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরাসরি প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। একজন কৃষক সর্বনি¤œ ১২০ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান খাদ্য গুদামে সরবরাহ করতে পারবেন। ধান সরবরাহের সময় কৃষককে অবশ্যই কৃষি সহায়ক উপকরণ কার্ড ,ভোটার আইডি কার্ড ও ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার সাথে আনতে হবে। কোন প্রকার ময়লা জনিত,চিটা বা নরম ধান ক্রয় করা হবে না। কেউ এ জাতিয় ধান খাদ্য গুদামে আনলে তা পেরত নিয়ে জেতে হবে।