নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ১২ টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া কয়েকশ’ হেক্টর জমির উঠতি ধান, ভুট্টা, কলাক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ঝড়ে কমপক্ষে ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার ইফতারের আগ মূহুর্তে আকস্মিক ঝড়ে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাছের নীচে চাপা পড়ে চার ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
ঝড়ে বড়াইগ্রাম পৌরসভার বড়াইগ্রাম উত্তরপাড়া, মৌখাড়াসহ কয়েকটি এলাকার কমপক্ষে ত্রিশটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া উপজেলার বড়াইগ্রাম ও মাঝগাঁও কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে আরো বিশটি কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি এবং ভবানীপুর হিফজুল কোরআন শিশু সদন ও হাফেজিয়া মাদরাসাসহ ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে প্রায় ৫শ হেক্টর জমির পাকা ইরি ধান, উঠতি কলা ও ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার উপজেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় কেন্দ্র মৌখাড়া হাটে বহু পুরনো একটি কড়ই গাছ মূলসহ উপড়ে পড়লে ১২টি দোকান বিধ্বস্থ হয়। এসময় এসব দোকানে থাকা চারজন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর লক্ষীকোল অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ হাসান মাহমুদ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে মৌখাড়া, লক্ষীকোল ও জোনাইল বাজারসহ কবলিত এলাকায় প্রায় ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এছাড়া ১৫-২০টি স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে অতিরিক্ত জনবলসহ সারাদিন কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।