মসজিদের নামে জমি বিক্রি করার ৪ বছর হলেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় জমিদাতার বিরুদ্ধে দখল না ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে রোববার দুপুর ১২ টায় রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ (কমিটি)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন দালাল।
সংবাদ সম্মেলনে মোসলেম উদ্দিন দালাল বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গিপাড়া গ্রামের দালাল বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনার খরচ বহনের জন্য কৃষি জমি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে কমিটি। সে অনুযায়ী মসজিদের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট পার্শ্ববর্তী সেনের হাওলা গ্রামের বজলুর রহমান খানের কাছ থেকে মসজিদের নামে তিন একর জমি ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়। চরকানকুনিপাড়া মৌজার ওই জমির জে,এল,নম্বর-১৩৮/১৮৫, এস,এ খতিয়ান নম্বর-৪১ ও দাগ নম্বর-৯৩৯/৯৪১।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ক্রয়ের প্রায় ৪ বছর হলেও মসজিদের পক্ষ থেকে জমি ভোগ দখল করতে পারছেন না কমিটি। শুরু থেকেই জমিদাতা বজলুর রহমান সেই জমি দখল করে রেখেছেন। ফলে জমি ক্রয় করে মসজিদ কমিটি বেকায়দায় পড়েছে। এনিয়ে কমিটি মামলা ও স্থানীয়ভাবে সালিশ-বিচার বসালেও তা অমান্য করে বজলুর রহমান জমির দখল ছাড়েনি। বজলুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় পরবর্তীতে হামলা-মামলার আতঙ্কে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটি নীরব ছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মসজিদ কমিটির সদস্য আঃ রব দালাল, শফিকুল ইসলাম, নয়া দালাল, ইকবাল হাওলাদার, জহির দালাল, স্বপন হাওলাদার ও ফোরকান মিয়া। এ সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমিটি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মসজিদ কমিটি। এদিকে অভিযুক্ত বজলুর রহমান খান বলেন, ‘আমি জমি দলিল দিছি। জমি বুঝাইয়াও দিছি। এখন মসজিদ কমিটি জমি নিবে না। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে কেস করছে, আমি একটাও মানি নাই।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ জানান, এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।