শৈলকুপায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংবাদসম্মেলন করেছে। গতকাল শৈলকুপা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার চরধলহরা গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইজাহার আলীর নাতীন রাবেয়া আক্তার লিখিত ভাবে জানান, একই গ্রামের ইনসান কবিরের সাথে তার গত বছর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পরে তার স¦ামী বিদেশ যাবার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবী করে শশুর রবিউল ইসলামের কাছে। টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের সাথে তার মনোমালিনের সৃষ্টি হয় এবং সে বিদেশ চলে যায়। এদিকে স্বামী বিদেশ চলে যাবার পর রাবেয়া আক্তারের উপর শশুর বাড়ির লোকেরা নববধু রাবেয়া আক্তার কে নানা ভাবে নির্যাত ন করতে থাকে । গত ২০ শে মার্চ তারিখে শশুড় বাড়ির লোকেরা তাকে মারধর করা সহ জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তাকে বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেয়। এদিকে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার কয়েক দিন পর শশুর বাড়ির লোকেরা নগ্ন ছবির সাথে আমার মুখের ছবি কম্পিউটারের মাধ্যমে সংযোজন করে তা আমার বাবার বাড়ির আশপাশে বিতারন করে । এতে আমার সমাজে সুনাম ক্ষুন্ন হয় । এই ঘটনাই আমি বাদি হয়ে আমার ভাষুর আঃ রশিদের ছেলে ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় গত ৯ মে তারিখে পর্নোগ্রাফির একটা মামলা দায়ের করি যার মামলা নম্বর -১১ ।এদিকে মামলা দায়ের করার পর শনিবার সকালে রামদা চাইনিজ কুড়াল,দেশীয় অস্ত্রসহ আসামী ইউনুচ আলী তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে ও আমার বাবাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হবে সেই সাথে আমার বাবার বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় ও আমার বাবা কে খুজতে থাকে । বর্তমানে আমার বাবাসহ আমি জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।রাবেয়া আক্তারের বাবা রবিউল ইসলাম জানান মেয়ে এই নগ্ন ছবি দেখে বিষ পান করতে চেয়েছিল । পরে আমি মেয়েকে অনেক বুঝিয়ে আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমার কে অবগত করলে তিনি এসে ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়।তিনি আরো বলেন আমার মেয়ের এই ঘটনার সুস্ত বিচার না হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারব না শেষে আমি ও আমার মেয়ের বিষ পান করে আত্ব্যহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। আসামীরা হুমকি দিচ্ছে এব্যাপারে থানায় কোন জিডি করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ মামলার দায়িত্বরত অফিসার এসআই আঃ রাজ্জাক কে অবগত করেছি। তিনি আমার বাড়িতে এসে বিস্তারিতশুনে গেছেন।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, তারা লিখিত ও মৌখিক ভাবে কিছু আমাকে অবগত করেনি।অবগত করলে তাদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আসামি ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে।