ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সালমা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধুর হাতের রগ কাটা অবস্থায় গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার গভীর রাতে নিহত সালমার পিতা মহসিন মিয়া বাদী হয়ে সালামার শাশুড়ি আলিমুননেছা ও প্রবাসী স্বামী মাহফুজুর রহমানকে আসামী করা হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সালমার শাশুড়ি আলিমুননেছাকে আটক করলেও পরবর্তীতে হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বাদী মহসিন মিয়ার দাবী, তার মেয়ে সালমাকে তার শাশুড়ি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করতো। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে শাশুড়ি সালিশী বৈঠকের আয়োজন করলেও সেখানে তা প্রমাণ করতে পারেনি। একই কারণে তার বড় ছেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন চাঁদপুর বসবাস করে। প্রবাসে থাকা স্বামী মাহফুজুর রহমানের ইন্দনে শাশুড়ি আলিমুনেছা তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিযে রেখেছে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া জানান, মামলা তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামী গৃহবধুর শাশুড়ি আলিমুননেছাকে আটক করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ঘনিয়া এলাকা থেকে সালমার হাতের রগ কাটা অবস্থায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধু আত্মহনন করেছে বলে স্বামীর পরিবার দাবী করলেও সালমার পিতা মহসিন অভিযোগ করে বলেছেন, তার মেয়েকে হাতের রগ কেটে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রচারণা চালাচ্ছে তার শশুড় বাড়ির লোকজন।
জানা গেছে, ঘনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসীর মাহফুজুর রহমানের সাথে পাশ্ববর্তী হুগলি গ্রামের মহসিন মিয়ার মেয়ে সালমার কয়েক বছর পুর্বে বিয়ে হয়।তাদের মাহমুদ নামে দুই বছর একটি সন্তান রয়েছে। রোববার দুপুরে সালমাকে তার শশুড় বাড়ি ঘনিয়া গ্রামের পতিশ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় লোকজন। এসময় তার হাতের রগ কাটা দেখতে পায়।